ওপাড় বাংলার অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর (Raima Islam Shimu) হত্যাকাণ্ড নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে ঢাকার বিনোদন জগতে । তদন্ত এগোতেই সামনে এল শিউড়ে ওঠার মতো কিছু তথ্য। শিমুর দেহ টুকরো করে বস্তাবন্দি অবস্থায় সারাদিন ঢাকা শহরে ঘুরেছিল তাঁর স্বামী।
সোমবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে দু'টুকরো অবস্থায় অভিনেত্রীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। সেদিন রাতে শিমুর দাদা শহিদুল ইসলাম খোকন মরদেহ শনাক্ত করেন।
ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই আটক করা হয়েছে শিমুর স্বামী নোবেল ও গাড়ি চালককে। পুলিশি জেরার মুখেই স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করে নোবেল।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক কাজী রমজানুল হক সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, শিমুর গলায় একটি দাগ রয়েছে। শিমুর স্বামী স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন। রবিবার নয়, শনিবার মধ্যরাতে দাম্পত্য কলহের জেরেই গলা টিপে শিমুর খুন করে নোবেল। খুনের পর শিমুর লাশ কেটে বস্তাবন্দি করে সেই বস্তা নিয়ে গাড়ি করে সারাদিন ঢাকা শহরে ঘোরে নোবেল। অবশেষে রাতে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর এলাকার আলীপুর সেতুর নিচে ফেলে আসে। বাড়ি ফিরে রাইমা ইসলাম শিমুর বোনকে সঙ্গে নিয়েই কলাবাগান থানায় স্ত্রী নিখোঁজের ডায়েরি করে।