অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। তারপর সেই অপরাধীকে খুঁজে পেতে জেরবার হয়েছে পুলিশ। এমনটা শোনা যায় প্রায়ই। কিন্তু, 'অপরাধী' যদি হয় একটি বাঁদর, তাহলে? এমনটাই ঘটেছে এবার সান লুইসের কাউন্টি থানায়। পুলিশের আপৎকালীন নম্বরে (Monkey called 911) এসেছিল ফোনটা। জরুরি হওয়ায় এই ধরনের ফোন (Monkey called 911) আসা মাত্রই ধরেন পুলিশ অপারেটর। এই ফোনটিও ধরেছিলেন। তবে এ ক্ষেত্রে অন্যদিকের কোনও কথা শোনা যায়নি। সাহায্য চেয়ে ভেসে আসেনি কোনও আর্তি।
প্রাথমিকভাবে, ক্যালিফোর্নিয়ার (California) পুলিশ (Police) অফিসাররা ভেবেছিলেন, নিশ্চই চিড়িয়াখানার মধ্যে কেউ বিপদে পড়েছে। সেই মতোই তাঁরা গিয়ে হাজির হয়েছিলেন সেখানে। কিন্তু খোঁজ-খবর করে দেখা গেল, ‘বিপদে পড়ে’ যে ফোন করেছিল, সে আর কেউ না, চিড়িয়াখানারই ছোট্ট একটি বাঁদর (Monkey called 911)!
আরও পড়ুন: মন 'অদল বদল' হচ্ছে সিদ্ধার্থ-কিয়ারার? পর্দার দু ধারেই জমছে রসায়ন
স্যান লুইস অবিস্পো কাউন্টি শেরিফ অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শনিবার রাতেই ৯১১ নম্বরে ফোন পেয়ে অফিসাররা সটান গিয়ে হাজির হন চিড়িয়াখানায়। কিন্তু গিয়ে দেখা যায়, যাবতীয় দুষ্টুমির মূলে রয়েছে ‘রুট’ নামে একটি ক্যাপুচিন বাঁদর। চিড়িয়াখানার গল্ফ কোর্সে ব্যবহার করার একটি গাড়ির মধ্যে কেউ ফেলে গিয়েছিল মোবাইলটি। কৌতূহলী রুট সেটাকেই হাতিয়ে নিয়ে ফোন করে বসেছিল এমার্জেন্সি নম্বরে!
রুটের বেশ কিছু ছবি দিয়ে পুরো ঘটনা নিজেদের ফেসবুকে (Facebook post) পোস্টে শেয়ার করেছে শেরিফ অফিস। ক্যাপশনে লেখা আছে, ‘যথেষ্ট পরিমাণে বাঁদরামি দেখে ফেলেছেন অফিসাররা।’ নিজের কীর্তিতে নাকি রুট এখন বেশ বিব্রত, দাবি তাঁদের। তাঁদের আরও দাবি, পুলিশ এর আগে অনেক বাঁদরামি দেখেছে। তবে এই প্রথম কোনও বাঁদরামি দেখে মুখে হাসি ফুটল।