গ্যাস, গুলি, আগুন। বিরোধী দল বিএনপি ও জামাতের এক যোগে মহা সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে এদিন পথে নামে বিএনপি ও জামাত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের। ঘটনায় এক পুলিশ কর্মী মৃত্যু হয়েছে। আহত ২০০-এর বেশি।
পুলিশি অত্যাচারের প্রতিবাদে আজ, রবিবার বাংলাদেশ জুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে বিরোধীরা। ঢাকার নিরাপত্তায় ১১ প্ল্যাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার বিএনপি সদস্য-সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকার পুলিশ প্রধান হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকেই ঢাকা ও তার আশপাশ অঞ্চলে তাণ্ডব চালান বিএনপি এবং জামাতের সদস্যরা। একসময়ে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাড়িতেও হামলা করা হয়। দুপুরের পর পাল্টা আক্রমণ চালায় বাংলাদেশের পুলিশ। সেইসময় মৃত্যু হয় পুলিশ কর্মী আমিরুল ইসলামের। বিএনপির এদিনের এই তাণ্ডবকে তীব্র নিন্দা করেছে শাসক আওয়ামি লিগ।
বিএনপি নেতা মির্জা ফারুখের অভিযোগ, পরিকল্পনা করে তাঁদের মহা সমাবেশের উপর গুলি চালিয়েছে সরকার। অভিযোগ উড়িয়ে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, নিহত ওই পুলিশ কর্মীকে কুপিয়ে মারা হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি রবিবার বনধের জেরে যদি কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নেন, তাঁকে রেয়াত করা হবে না।
দুপুরের এই অশান্তির জেরে প্রায় অনেক রাত পর্যন্ত ঢাকা ও তাঁর আশপাশ অঞ্চল অশান্ত থাকে। বেশ কিছু জায়গায় গাড়ি ও বাসে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও জামাতের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন ঢাকা পুলিশের প্রধানও।