বিস্ফোরক দাবি করলেন পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী (Fawad Chaudhury)। শুক্রবার তিনি দাবি করলেন, রবিবারের অনাস্থা প্রস্তাবের আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) হত্যার ছক কষা হচ্ছে বলে তাঁকে জানিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সংস্থা।
ফাওয়াদ চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে সংবাদপত্র 'ডন' জানিয়েছে, এই রিপোর্টের পর ইমরান খানের (Imran Khan) নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক সরকার।
এক সপ্তাহ আগেই তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের (Tehrik-E-Insaaf) এক নেতা ফয়জল ভাওরা দাবি করেছিলেন 'দেশ বেচতে অস্বীকৃত' হওয়ায় ইমরান খানকে (Imran Khan) হত্যার ছক কষা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'ডিমেনশিয়া' নিয়ে রণবীরের বক্তব্য নাকচ রণধীরের, 'ওর অধিকার আছে নিজের কথা বলার' বললেন তিনি
একটি খবরের চ্যানেলের অনুষ্ঠানে ভাওরা ওই দাবি করে জানান, তাঁর কাছে 'বিদেশি চক্রান্তের প্রমাণ' রয়েছে।
যদিও, যে চিঠির মাধ্যমে তিনি এই দাবি করেছিলেন, তাতে স্পষ্টভাবে পাক প্রধানমন্ত্রীকে (Imran Khan) হত্যার ছকের ব্যাপারে উল্লেখ করা ছিল না। ভাওরা বলেন ২৭ মার্চের সভায় মঞ্চে বুলেটপ্রুফ গ্লাস লাগানোর পরামর্শ দিলেও ইমরান তা কানে তোলেননি।
প্রসঙ্গত, বিরোধীরা বিদেশি শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে 'আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র'-তে লিপ্ত হয়েছে- জাতীর উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় ইমরান (Imran Khan) এই দাবি করার পরেই ফাওয়াদ চৌধুরী (Fawad Chaudhury) দ্ব্যর্থহীনভাবে এ কথা জানালেন।
জাতীর উদ্দেশে দেওয়া লাইভের ৬৯ বছর বয়সী পাক প্রধানমন্ত্রী (Imran Khan) 'হুমকি চিঠি'-র কথা জানান এবং সেটিকে বিদেশি চক্রান্ত বলে একাধিকবার দাবি করেন। তাঁর কথায়, স্বাধীন বিদেশ নীতির ব্যাপারে বাধা হয়ে দাঁড়ানোতেই তাঁর বিরুদ্ধে এই চক্রান্ত রচিত হয়েছে।
রবিবার পাক সংসদে বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের আগেই এই চিঠির প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী রাজনীতিকে একহাত নিলেন ইমরান (Imran Khan), এমনটা মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। প্রকারান্তরে, তিনি আমেরিকার দিকে আঙুল তুলছেন বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
অন্যদিকে, আমেরিকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তারা ওই দেশের সরকারকে কোনও চিঠি পাঠায়নি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন ইমরান খান। ওই দিনই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। ১৯৯৯ সালে তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মস্কো যাওয়ার ২৩ বছর বাদে সেটিই ছিল পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রীর প্রথম রাশিয়া সফর।