আমেরিকার লাস ভেগাসে বসেছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি মূর্তি। আপাতভাবে এতে বিস্ময়ের কিছুই নেই। কিন্তু, যদি দেখা যায়, আলোচিত মূর্তিটির গায়ে একটুও পোশাক নেই। এবং, সেটি সম্পূর্ণ নগ্ন। তাহলে? সেখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। মূর্তি দেখতে রীতিমতো ভিড় করতে আরম্ভ করেন পথচারীরা। মূর্তিটি 'অশ্লীল' বলেও অভিযোগ ওঠে বিভিন্নমহল থেকে। সেই অভিযোগের তীব্রতা এতটাই বেড়ে যায় যে, স্থানীয় প্রশাসন স্থাপনের মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মূর্তিটি সরিয়ে নিতে কার্যত বাধ্য হল।
৪৩ ফুট উঁচু এবং প্রায় ৬ হাজার পাউন্ড ওজনের মূ্র্তিটি তৈরি করা হয়েছে ফোম দিয়ে। অনেকের মতে, ট্রাম্পের এই মূর্তির সঙ্গে তাঁর অতীতের বিতর্কগুলির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট চরিত্র বর্ণময় ও বিতর্কে পরিপূর্ণ। বিভিন্ন সময়ে নানা বিষয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া এক সময় তাঁর কাছে ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। তবে
বিষয়টি নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ট্রাম্পকে উপহাসও করেন। কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচার সভার ঠিক আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাম্পের এই বিরাট নগ্ন মূর্তিটি স্থাপন করা হয়। অনেকে মনে করছেন, নির্বাচনের আবহে ইচ্ছাকৃতভাবেই এই মূর্তি বসানো হয়েছে। যাতে নানা বিতর্কের জন্ম দেওয়া যায় এবং তা নিয়ে সর্বক্ষণ আলোচনা চলে। তাহলেই ট্রাম্পের নাম শিরোনামে থাকবে প্রচারের।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত যদি এই মূর্তিটি সরানো না হয়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।
বিষয়টি নিয়ে তাঁদের সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে জোর চর্চা শুরু করেছেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই মূর্তিটিকে 'উদ্ভট' বলে উল্লেখ করেছেন। কেউ কেউ আবার বলছেন, মূর্তিটি দেখলে 'গা ছমছম' করছে!