দ্বিতীয়বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট শপথ নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মসনদে বসেই এমন এক ঘোষণা করলেন যা নিয়ে তোলপাড় আমেরিকার রাজনীতি ও সমাজ। ট্রাম্প জানিয়ে দিলেন, এখন থেকে দেশের সরকারি নথিতে দুটিমাত্র লিঙ্গই স্বীকৃতি পাবে। নারী ও পুরুষ। অর্থাৎ, তৃতীয় লিঙ্গের কোনও স্বীকৃতি সরকারিভাবে থাকছে না।
সংবাদমাধ্যম 'দ্য গার্ডিয়ান' জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই পাসপোর্ট-ভিসার মতো সরকারি নথিতে শুধুমাত্র পুরুষ এবং নারী, এই দুটি লিঙ্গেরই উল্লেখ থাকবে। একজন মানুষের শারীরিক গঠন দেখে তাঁর লিঙ্গ ঠিক করা হবে।
উল্লেখ্য, চার বছর আগে আমেরিকার পূর্বতন সরকার নির্বাচিত হওয়ার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন 'রূপান্তরকামী' অর্থাৎ ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য পৃথক লিঙ্গের ব্যবস্থা নিয়ে নীতি চালু করেছিলেন। ট্রাম্প সরকার ক্ষমতায় এসে আগের সরকারের লিঙ্গসাম্যের নীতি ভেঙে শুধু পুরুষ ও নারীকে স্বীকৃতি দিল।
জো বাইডেন তাঁর ভাইবোন সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে আগাম ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। তাঁর আশঙ্কা, আমেরিকার নতুন সরকার তাঁর উপর রাগ মেটাতে পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হেনস্তা করতে পারে- এমন আশঙ্কা তাঁর রয়েছে।
২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্নবাচনের আগে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প সরকারে এলে সমস্যা বাড়তে পারে। বেআইনিভাবে আমেরিকায় অভিবাসনকারীদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেবে ট্রাম্প সরকার। এমন ইঙ্গিতও রয়েছে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের কথায়।