বছরটা যেরকমই যাক না কেন, বিশ্ববিখ্যাত কেমব্রিজ ডিকশনারি তা শেষ করতে চলেছে ইতিবাচকভাবেই। এবং, বেশ অভিনব পদ্ধতিতেই। কীরকম? একটু দেখে নেওয়া যাক। এই ডিকশনারিতে পুরুষ ও নারীর চিরাচরিত সংজ্ঞাই বদলে দেওয়া হল। এই পরিবর্তন করা হয়েছে মূলত তাঁদের কথা ভেবে, যাঁরা তাঁদের লিঙ্গভিত্তিক পরিচয় ছাড়িয়ে সমাজে নিজেকে দেখতে চান।
'পুরুষ'-এর সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- এমন একজন প্রাপ্তবয়স্ক, যিনি অন্য লিঙ্গের পরিচয় নিয়ে জন্মালেও নিজেকে পুরুষ ভাবেন এবং পুরুষের মতোই বাঁচেন।
'নারী'-র সংজ্ঞায় বলা হয়- এমন একজন প্রাপ্তবয়স্ক, যিনি অন্য লিঙ্গের পরিচয় নিয়ে জন্মালেও নিজেকে নারী ভাবেন এবং নারীর মতোই বাঁচেন।
যদিও, পুরুষ ও নারীর একেবারে পরিচিত সংজ্ঞাটিকেও সম্পূর্ণ মুছে ফেলা হয়নি। সেটিও রয়েছে তার নিজের জায়গাতেই।
রূপান্তরকামীরা বহুক্ষেত্রেই তাঁদের লিঙ্গ পরিচয় নিয়ে সমস্যায় পড়েন। পুরুষ বা নারী নয়, তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে উল্লেখ করা হয় তাঁদের। সেক্ষেত্রে কেমব্রিজের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই। সংজ্ঞার দৃষ্টান্তও দেওয়া হয়েছে কেমব্রিজ ডিকশনারিতে।
কেমব্রিজ ডিকনশারির তরফে এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, সম্পাদকেরা দীর্ঘ গবেষণার পরে সমাজে ‘নারী’ শব্দটি কোন আঙ্গিকে ব্যবহার করা হচ্ছে সেই নিরিখে আভিধানিক সংজ্ঞাটি তৈরি করেন গত অক্টোবরে। একই ভাবে তৈরি হয় ‘পুরুষ’-এর সংজ্ঞাও।