ব্রাজিল বামেদের। দু দশক পর দেশের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিয়ে রিও-র মসনদে লুলা ডি সিলভা ও তাঁর ওয়ার্কার পার্টি। ফলে আগামী চার বছর ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভা। সম্প্রতি গণনায় দেখা গিয়েছে এক শতাংশের কম ভোটে হেরে গদি হারালেন জার বলসেনেরো।
সম্প্রতি ভোট হয়েছিল নেইমারদের দেশে। পেলে দেশে ভোট পড়েছিল ৯৯ শতাংশের বেশি। গণনায় ৫১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন লুলা। ৪৯.১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলসেনেরো। ব্রাজিলের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গত কয়েক দশকে তাদের দেশে এটাই সেরা নির্বাচন।
২০১৮ সালে দু্র্নীতি মামলায় জেল হয়েছিল লুলার। সামজিক ন্যায়কে সামনে রেখে ওই বছর ব্রাজিলের ক্ষমতায় এসেছিলেন বলসেনেরো। জয়ের পর ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, 'এই জয় আমার বা আমার ওয়ার্কার পার্টির জয় নয়। এই জয় গণতন্ত্রের জয়। কারণ, নির্বাচনে আমাদের দলকে অন্য কোনও রাজনৈতিক দল সাহায্য করেনি। এমনকী প্রচারে আমার পাশে কেউ ছিলেন না। কিন্ত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই জয় গণতন্ত্রের। যা প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছে শিক্ষার বিষয়।'
বদলাবে ব্রাজিল। ভোটে দিতেই এই দাবি নতুন প্রেসিডেন্টের। সাও পাওলোয় এক বিজয়ী জনসভায় তিনি জানিয়েছেন, দেশের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবে তাঁর সরকার। বিশেষ করে গরিবদের কথা ভেবেই কাজ হবে। দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে তাঁর বেশি নজর থাকবে। ফুটবলকে দিয়ে ব্রাজিলের অর্থনীতিতে ফের চাঙ্গা করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, লুলার এই জয়ে লাতিন রাজনীতিতে নতুন বার্তা দিল বামেরা। কারণ মার্কিন প্রভাবমুক্ত হতে ইতিমধ্যেই চিলি, কলম্বিয়া এবং আর্জেন্টিনায় বাম শাসন প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যোগ দিল ব্রাজিলও।