কক্সবাজারের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে আচমকা দুষ্কৃতী হামলা। খবর পাওয়া গিয়েছে, এক যুবকের মৃত্যুও হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকার দখল নিয়েছে বায়ুসেনার জওয়ান ও পুলিশ। জানা গিয়েছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরের পাশেই বাংলাদেশ বায়ুসেনার বিমানঘাঁটি নির্মাণের কাজ চলছিল। সেখানেই হামলা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে অস্থির বাংলাদেশ। দেশের অন্দরে ও বাইরে একাধিক ইস্য়ু নিয়ে সমস্য়ায় জর্জরিত অন্তর্বর্তী সরকার। US-এইডের ফান্ড নিয়ে সমস্য়ায় পড়েছে ভারত। একই সমস্য়ায় জর্জরিত বাংলাদেশও। ট্রাম্প কিন্তু বাংলাদেশের নামও নিয়েছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, US-এইড ফান্ড থেকে বাংলাদেশে ২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার গেছে। রাজনৈতিক শক্তি বাড়াতেই এই টাকা গিয়েছে বলে মনে করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, বাংলাদেশের একটি অজানা ফার্মের কাছে এই টাকা গিয়েছে। ওই ফার্মের মাত্র দুজন কর্মী। ট্রাম্প জানান, এমনি সময় হয়তো ১০ হাজার ডলার করে হয়তো পায় ওই সংস্থা। হঠাৎ ইউএস গভর্নেন্টের কাছ থেকে ২৯ মিলিয়ন ডলার ঢোকে। মানতেই হবে, ওরা আচমকা বড়লোক হয়ে গিয়েছে। ওরা তো খুশি হবেই।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়ে দেন, তিনি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মাথা গলাবেন না। প্রধানমন্ত্রী মোদীকেই দায়িত্ব দিচ্ছেন তিনি। তবে বাংলাদেশকে নিয়ে একেবারেই খুশি নয় ভারত সরকার। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লির আশ্রয়ে আছেন। তিনি নয়াদিল্লি থেকে আওয়ামী লীগের সদস্য়দের বার্তা দিয়েছেন। প্রথমবার শেখ হাসিনার মন্তব্য়ের পর বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ধানমন্ডিতে। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় মানুষ। আওয়ামী লিগের সদস্য়দের উপর হামলা করা হয়। দলের একটি সোশ্যাল মিডিয়া লাইভে এসে শেখ হাসিনা ফের দেশে ফেরার বার্তা দেন। এরপরেও বেশ কিছু জায়গায় অশান্তি হয়।
বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান কী! বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, তাঁরা ভারতের সঙ্গেই আছে। প্রথম আলো-র প্রতিবেদনে এমনই জানিয়েছেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, শেখ হাসিনাকে ভারতকে চাপ দিতেই কি এমন দাবি বাংলাদেশের! এদিকে চিনের সঙ্গেও কিন্তু সম্পর্ক মজবুত করছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে চিন কার্যত চুপ। কিন্তু ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মাথা গলাচ্ছে বেজিং। ঢাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশকে সাহায্য়ের জন্য় হাত বাড়িয়ে রয়েছে চিন। বিএনপি-সহ আওয়ামী লীগের বিরোধী আটটি দলকে বেজিংয়ে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সম্পর্ক নিয়ে একেবারেই খুশি নয় নয়াদিল্লি। কড়া নজর রাখা হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক অভ্য়াসে পরিণত করে ফেলা নিয়েও কটাক্ষ করেছে ভারত।
বাংলাদেশে ভারত বিদ্বেষ বাড়লে কড়া পদক্ষেপ কি নেবে দিল্লি! সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর দিল্লি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের একটি সাহিত্য় উৎসবে যোগ দেন। তিনি জানান, ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী। বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক রাখতে চায়, তা তাঁরাই ঠিক করবে। জয়শঙ্কর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, কোনও অন্তর্বর্তী সরকার যদি রোজ রোজ সব কিছুর জন্য় ভারতকে দোষ দেওয়া ঠিক নয়। যদি কেউ ভাল সম্পর্ক রাখতে চায়, কিন্তু অন্য় দিক থেকে যদি দোষারোপ করা হয়, তা হলে তা সম্ভব হয় না। সংখ্যালঘু হিন্দুদের আক্রমণ নিয়েও মুখ খুলেছেন বিদেশমন্ত্রী।