ভাল নেই রবি ঠাকুরের 'সোনার বাংলা' । হাসিনা সরকারের পতনের পরও এখনও অশান্ত বাংলাদেশ । কার্ফু শিথিল হলেও বিক্ষোভ এখনও চলছে বেশ কয়েক জায়গায় । এখনও লাশ পড়ছে । মৃত্যুর খবর সামনে আসছে । গত ২৪ ঘণ্টায় আরও শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে । তাঁদের মধ্যে রয়েছের বাংলাদেশের নায়ক শান্ত খান । তাঁকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে । সেদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, শান্ত খানের বাবা সেলিম খানকে খুনের অভিযোগ উঠেছে । জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার ছিলেন সেলিম খান । টলিউডের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর । এমনকী, সেলিম খানের ছেলে শান্ত খানের সঙ্গে সিনেমাও করেছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়রা । তাঁর সিনেমার নায়কের মৃত্যুর খবর পৌঁছেছে কৌশানীর কাছেও । সত্যিই যে এমন কিছু ঘটেছে, বিশ্বাস করতে পারছেন না কৌশানী ।
শান্ত খানের সঙ্গে 'পিয়া রে' সিনেমায় অভিনয় করেছেন কৌশানী । এখনও সেই সিনেমা মুক্তি পায়নি । আর মুক্তি পাবেও না হয়তো । এমনই আশঙ্কা কৌশানীর । টলিউডের অভিনেত্রী আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছে, 'আমি বিশ্বাস করতে পারছি না সত্যিই এটা হয়েছে ।' তিনি আরও জানান, টলিউডের অনেকেরই সেলিম ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল । চাঁদপুর এলাকার শান্তর একটা রাজত্ব ছিল । সেখানে গেলেই ঢাকা ঘোরানো থেকে শুরু করে যে কোনও সমস্যায় সবসময় সাহায্য করতেন শান্ত । মানুষকে ভালবাসতেন । অভিনয় নিয়ে শান্ত তাঁর থেকে নানা উপদেশ নিতেন । কিন্তু, এখন যে শান্ত নেই, ভাবতেই পারছেন না কৌশানী ।
সেলিম খান ও শান্ত খানের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল ?
বাংলাদেশের চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খান । চাঁদপুর এলাকায় তাঁদের প্রচুর প্রতিপত্তি । সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, সোমবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময়ই বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে জনরোষের মুখে পড়েন তাঁরা । সেখান থেকে কোনও রকমে বেরিয়ে গেলেও বাগাড়া বাজারে জনতার রোষের মধ্যে পড়েন । অভিযোগ, সেখানেই গণপিটুনিতে মৃত্যু হয় সেলিম খান ও তাঁর ছেলে শান্ত খানের ।