ফের রক্তাক্ত বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে দাবি, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাদের ৯ দফা দাবিতে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফৌজদারি হয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে যাচ্ছিলেন। খবর, মিছিলটি রেসকোর্স এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা ধাওয়া করেন। ছোঁড়া হয় গুলিও। ঘটনায় অন্তত ছয়জন গুলিবিদ্ধ এবং ২০ জন আহত হন বলে খবর।
আন্দোলনকারীদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় নিহতের খবর ও সামনে আসছে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শেখ ফজলে রাব্বি শনিবার বিকেলে বলেন, ‘‘হাসপাতালে পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাঁদের চিকিৎসা করছি।”
সাংবাদিক, চিত্র সাঙ্গাবাদিকদের ধরেও মারধর করা হয়েছে বলে খবর। টাউনহল মোড় থেকে টমসম ব্রিজ রোডের সিএনজি স্টেশন, ভিক্টোরিয়া কলেজ গেইট, রাজগঞ্জ মোড়, জিলা স্কুল গেইটসহ বিভিন্ন গলি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। গোটা ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশে।
উল্লেখ্য, অনেক লড়াই আন্দোলনের পর বাংলাদেশের সরকারী চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ ছিল মুক্তিযোদ্ধা এবং তাঁদের স্বজনদের জন্য৷ এই কোটা বাতিলের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল বাংলাদেশ। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বহু মানুষের প্রাণ গিয়েছে। তবুও যেন কিছুতেই শান্তি ফিরছে না বাংলাদেশে।