কী চায় ভারত ?
সোমবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১০টায় আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগে বড় ধাক্কা খেয়েছে দিল্লি। পুরনো বন্ধু ট্রাম্পের শপথে আমন্ত্রণ পাননি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবুও, ট্রাম্পের নতুন ইনিংসে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঘিরে আশা ছাড়ছে না সাউথ ব্লক।
কূটনৈতিক মহলের মতে, ভারত চায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া নিয়ে নিজের মনোভাবের বদল করুক ওয়াশিংটন। দিল্লি মনে করে বিশেষ করে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক ট্রাম্প সরকার। ইতিমধ্যে দিল্লির হাত থেকে হাসিনাকে পেতে মরিয়া ঢাকা। হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ইউনুস সরকারের দাবি ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার।
ট্রাম্পের শপথের আগে দিল্লি নিজের মনোভাব জানিয়ে দিয়েছে, তারা চায় না ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে আমেরিকা বেশি নাক না গলায়। বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যুতে আমেরিকা ফের ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দিল্লি। তাই আগে থেকে নাম না করে এই ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছে দিল্লি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ অনুষ্ঠানকে বিশেষ ঘটনা বলে দাবি করেছেন বিদেশমন্ত্রী সুব্রাহ্মমনিয়ম জয়শঙ্কর। তাঁর মতে ভারতীয় সময় রাতে গোটা পৃথিবী তাকিয়ে থাকবে ওয়াশিংটনের দিকে। ট্রাম্পের সরকার গঠনের আগে আশাবাদী বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, দু-দেশের মধ্যে যেটুকু ফারাক রয়েছে, তা এবার মিটিয়ে নেওয়া হবে।
বৈদেশিক বাণিজ্য, অস্ত্র-চুক্তি-সহ চিন নিয়ে দু দেশের মনোভাব। ট্রাম্প সরকারের নতুন ইংনিসে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আগ্রহ রয়েছে আন্তর্জানিক মহলের। কিন্তু কেন বন্ধু ট্রাম্পের শপথে মোদী নেই, সেই প্রশ্ন উঠছে। তাকে খুব একটা আমল দিচ্ছে না দিল্লি। বরং প্রশ্ন ভুলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বন্ধুত্বের হাত শক্ত করতে চায় ভারত।