খুনের চেষ্টার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকায় অভিযুক্ত ৯ মাসের শিশু! ঠিক করে হাঁটতে শেখার আগেই নাকি সে প্রাণঘাতী হামলা করেছে কয়েকজনের উপরে! আজগুবি বা গল্পকথা নয়, নির্জলা সত্য। আজ গল্প হলেও সত্যি-তে থাকছে এমনই এক ঘটনার কথা।
পাকিস্তানের ঘটনা, ক'বছর আগের। একরত্তি ওই শিশুকে পেশ করা হয়েছিল আদালতে। বিচারকের সামনেই অবশ্য চিলচিৎকার করে কেঁদে ওঠে ৯ মাসের মুসা। তাকে শান্ত করতে ঠাকুরদা মুখে ধরেন দুধের বোতল। তবে খুনের চেষ্টার অভিযোগ যখন উঠেছে, তখন কি আর সহজে নিস্তার মেলে! আদালতের নিয়ম মেনে জামিন হয় একরত্তি ওই শিশুর৷ জামিনের জন্য উকিলকে জোগাড় করতে হয় ওই শিশুর টিপসই! ধন্য বটে পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থা।
Unusual Story: ৮২ বছরের জীবনে একবারও কোনও মহিলাকে দেখেননি এক পুরুষ
ঘটনাটি ঠিক কী? ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে লাহোরের এক বস্তিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের মুখে পড়েন গ্যাস সংস্থার কয়েকজন কর্মী। সময়মতো বিল না মেটানোয় গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার হয়ে দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। মারমুখী জনতা তাঁদোর লক্ষ্য করে ঢিল-পাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। প্রাণসংশয় হয় ওই কর্মীদের। শেষে কোনও মতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন।
এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। শুরু হয় তদন্ত। খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় একই পরিবারের চার সদস্যকে। ঠাকুর্দা আর বাবার সঙ্গে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় ৯ মাসের মুসার নামেও। বিপদ বুঝে তাঁকে ফয়সলাবাদে সরিয়ে নিয়ে আসেন পরিজনরা। কিন্তু রেহাই মেলেনি। তাকে আটক করে পেশ করা হয় আদালতে। জামিনের জন্য উকিলকে জোগাড় করতে হয় ওই শিশুর টিপসই!
তারপর বেশ কয়েক বছর কেটে গিয়েছে৷ কিন্তু পাকিস্তানের আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। এ কেমন প্রশাসন, যারা ৯ মাসের শিশুর নামে খুনের চেষ্টার মামলা দেয়!