ওটিপি স্ক্যাম। ভারতীয় গ্রাহকদের অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ওটিপি স্ক্যাম। মোবাইলের সঙ্গে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি জুড়ে রয়েছে। একবার ওটিপি শেয়ার করলেই সব তথ্য হাতিয়ে নিতে পারেন হ্যাকাররা। এই উৎসবের মরশুমে কীভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন! ওটিমি স্ক্যাম থেকে বাঁচতে কী কী করবেন, আর কী কী করবেন না!
যত দিন যাচ্ছে, স্মার্টফোনের উপর নির্ভরতা বাড়ছে প্রত্যেকেরই। কর্মক্ষেত্র থেকে পরিবার, দিনের অধিকাংশ সময়ই সঙ্গে থাকে স্মার্টফোন। আর এই স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাকটিভিটি থেকেই হয় ওটিপি স্ক্যাম। বিভিন্ন লোভনীয় অফার, লোন, ক্রেডিট কার্ড, গিফট কার্ড বা অনলাইন শপিং, এই সংক্রান্ত মেসেজ আসতেই থাকে ফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু কোন মেসেজ আসল, কোনটি নকল তা বোঝারও উপায় থাকে না। ওটিপি স্ক্যাম থেকে বাঁচতে কী কী জিনিস মাথায় রাখবেন!
কখনও ফোনে বা কোনও অনলাইন চ্যাটে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, প্যান, আধার নম্বর শেয়ার করবেন না। অপরিচিত ব্যক্তির কাছে তো নয়ই। ব্যাঙ্ক কখনও ব্যক্তিগত তথ্য গ্রাহকদের কাছে জানতে চায় না। যদি হঠাৎ ফোন করে কোনও অপরিচিত ওটিপি চায়, তা ভুল করেও দেবেন না। কারণ কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি ওটিপি চাওয়ার জন্য চাপ দিতে পারেন না।
যদি একান্তই কোনও অপরিচিত ব্যক্তিকে ওটিপি দিতে হয়, তা হলে ট্রু কলারের মতো অ্যাপে আগে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে ভাল করে দেখে নিন। যদি দেখেন, রিপোর্ট ভাল নয়, তা হলে সতর্ক হয়ে যান। কোন অসুবিধায় পড়লে সরাসরি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। টেলিকম সংস্থার টোল ফ্রি নম্বরে কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করবেন। ভুলেও ফোনে কোনও থার্ড পার্টি অ্য়াপ ইনস্টল করবেন না। অনলাইনে বা ফোনে কী কী ধরনের জালিয়াতি হচ্ছে, এগুলো একটু মাথায় রাখুন। সেই ধরনের কোনও ফোন বা মেসেজ এলে সতর্ক হয়ে যান।