বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় বৃহস্পতিবার আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ওড়িশা উপকূলে। প্রবল ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে পুরী সহ উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকায়। শুধু ওডিশা নয় পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও প্রভাব পড়তে পারে। তার মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, কলকাতায় সবথেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে।
মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে বৃহস্পতিবার। এই পরিস্থিতিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ঝড়ের লেটেস্ট আপডেট জেনে সুরক্ষিত রাখতে পারেন নিজেকে এবং প্রিয়জনকে। সঙ্গে রাখুন কয়েকটি বেস্ট অ্যাপ। যার মাধ্যমে আপনি সহজেই ঘূর্ণিঝড়ের লেটেস্ট আপডেট ট্র্যাক রাখতে পারেন।
আধুনিক প্রজন্মের সিংহভাগই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। ফলে অত্যাধুনিক অ্যাপের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের লেটেস্ট আপডেট ট্র্যাক রাখতে পারবেন। কিন্তু কোন অ্যাপগুলিতে সবথেকে ভালো ট্র্যাক করতে পারবেন সাইক্লোন দানা? জেনে নিন-
windy.com
সবথেকে বেশি ব্যবহৃত সাইক্লোন ট্র্যাকিং অ্য়াপ windy। এই অ্য়াপটি মূলত GPS বেসড। অর্থাৎ সাইক্লোনের সঠিক অবস্থান এবং তার ক্ষমতা সঠিকভাবে বোঝা সম্ভব এই অ্য়াপের মাধ্যমে। এখানেই শেষ নয়, windy-র মাধ্যমে ল্যান্ডফলের নির্দিষ্ট সময়ও বোঝা সম্ভব। অর্থাৎ ঠিক কোন সময়ে ভূপৃষ্ঠের কোন অংশে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে তা বোঝা সম্ভব উইন্ডির মাধ্যমে।
IMD-
এটি কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থ সায়েন্স মন্ত্রকের একটি সংস্থা। যার পুরো কথা ইন্ডিয়ান মেটেরোজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট। IMD-র তরফে একট ওয়েবসাইটটি তৈরি করা হয়েছে। url- www.mausam.imd.gov.in। প্রতিটি রাজ্যের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় রয়েছে তাদের অফিস। ওই কেন্দ্রগুলি থেকে প্রতিনিয়ত আবহাওয়ার উপর নজর রাখা হয়। প্রতিদিনের আবহাওয়া আপডেটের পাশাপাশি সাইক্লোন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বুলেটিন আকারে প্রকাশিত হয় IMD ওয়েবসাইটে। ওয়েব পেজটিতে রয়েছে একটি সাইড মেনু। সেখানে সাইক্লোন ট্র্যাকিং সম্ভব।
RSMC-
RSMC- যার পুরো নাম রিজিওন্যাল স্পেশালাইজড মেটেরোলজিক্যাল সেন্টার ফর টিপিক্যাল সাইক্লোন। এই সংস্থাটি নর্থ ইন্ডিয়ান ওশেনের উপর তৈরি হওয়া যাবতীয় সাইক্লোনের উপর নজর রাখতে পারে। এটি মৌসম ভবন অর্থাৎ IMD-র একটি অংশ বলা যেতে পারে। ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করে এই সংস্থাটি।
Zoom earth-
সাইক্লোন ট্র্যাক করার জন্য এই অ্য়াপটি বেশ কাজের। শুধু অ্য়াপ নয়, ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও সাইক্লোন ট্র্যাক করা সম্ভব। অ্য়াপ এবং ওয়েবসাইট, দুটোই GPS বেসড। অর্থাৎ লোকেশন চালু করলেই নির্দিষ্ট জায়গায় আবহাওয়া আপডেট পাওয়া সম্ভব। এই অ্য়াপ বা ওয়েবসাইটের সবথেকে জনপ্রিয় ফিচার হল রেডার। এই ফিচারের মাধ্যমে ঝড়, বৃষ্টি সহ আবহাওয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রেডার আপডেটে পাওয়া যায়। যার ফলে লাইভ ট্র্যাক করা সম্ভব। এর পাশাপাশি তাপমাত্রার আপডেটও পাওয়া সম্ভব এই অ্য়াপের মাধ্যমে।
লাইভ সাইক্লোন ট্র্যাকিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রযুক্তির উন্নতিতে রেডারের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ের লাইভ ট্র্যাক করা সম্ভব। বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির ফলে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে স্মার্টফোনেও। ফলে সঠিক সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে সুবিধা হয়। প্রাণহানি থেকে অনেককে রক্ষা করা যায়। আগে এই প্রযুক্তির ব্যবহার তুলনামূলক কম হত। সাইক্লোন মনিটারিং অ্য়াপের সংখ্যাও ছিল কম। যার ফলে অতীতে একাধিক ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি হয়েছিল প্রচুর। তবে বর্তমানে স্মার্টফোনের দৌলতে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট পাওয়া সম্ভব।