প্লে-অফে যেতে গেলে সব ম্যাচেই জিততে হবে ময়াঙ্ক আগরওয়ালদের। এই পরিস্থিতি থেকেই শুক্রবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৫৪ রানে হারিয়ে দিল পাঞ্জাব কিংস। ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে ব্যাটে ও বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স করল পাঞ্জাব। তাদের দাপটে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স গুটিয়ে গেল। ম্যাচটা পাঞ্জাব কিংস জিতে নিল ৫৪ রানে। সেই সঙ্গে পয়েন্ট তালিকায় ছ’ নম্বরে উঠে এল পাঞ্জাব। চারে জায়গা ধরে রাখলেও ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে গেল আরসিবি। কারণ তাদের হাতে আর একটি ম্যাচই বেঁচে থাকল। যে ম্যাচে ব্যাঙ্গালোরকে জিততেই হবে। সেই সঙ্গে বাকি দলগুলির হারের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে। শুক্রবারের ম্যাচ জিতলে বিরাট কোহলিরা কার্যত প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলতে পারতেন।
এ দিন টসে জিতে পঞ্জাব কিংসকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন আরসিবি'র অধিনায়ক ফাফ দু'প্লেসি। শিখর ধাওয়ান ১৫ বলে ২১ করে আউট হয়ে যাওয়ার পর ভানুকা রাজাপক্ষে এসে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। কিন্তু সে সময়ে দলের হাল ধরে ছিলেন জনি বেয়ারস্টো। ২৯ বলে ৬৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। বেয়ারস্টোর পর আক্রমণাত্ম মেজাজে পাওয়া যায় লিয়াম লিভিংস্টোনকে। ৪২ বলে ৭০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। বাকিরা কেউ ২০ রানের গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। তাতে অবশ্য রানের পাহাড়ে চড়তে সমস্যা হয়নি পাঞ্জাবের।
জাববে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি শুরুটা মন্দ করেননি। রাবাদা ফেরান কোহলিকে। ৪০ রানে দ্রুত তিনটি উইকেট হারিয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর চাপ অনুভব করতে শুরু করে। রজত পাতিদার (২৬) বেশ এগোচ্ছিলেন। রাহুল চহারকে মারতে গিয়ে ধরা পড়লেন শিখর ধাওয়ানের হাতে। ১০৪ রানে চতুর্থ উইকেট যায় আরসিবির।
আস্কিং রেট বাড়ছিল প্রতিনিয়ত। সেই চাপ আরসিবি ব্যাটারদের কাছে প্রাণান্তকর হয়ে ওঠে। অন্যান্য ম্যাচে শেষের দিকে জ্বলে ওঠেন দীনেশ কার্তিক। কিন্তু অন্যদিনের ম্যাচগুলোর মতো পরিস্থিতি এদিন ছিল না। অনন্ত চাপ গ্রাস করছিল তাঁকেও। ব্যক্তিগত ১১ রানে ফিরতে হল অর্শদীপ সিংয়ের বলে। শাহবাজ আহমেদ (৯) বশ্যতা স্বীকার করলেন রাবাদার। শেষ চার ওভারে জেতার জন্য আরসিবির দরকার ছিল ৮০ রান। দেওয়াল লিখন তখনই পড়ে ফেলেছিল ব্যাঙ্গালোর।