গঙ্গায় পদক বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কুস্তিগিররা। শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। কেন্দ্রকে ৫ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন তাঁরা। নদীতে পদক বিসর্জনের ঘটনা এর আগেও বিশ্বমঞ্চে ঘটেছে। ১৯৬০ সালে নিজের পদক ওহিয়ো নদীতে বিসর্জন দেন মহম্মদ আলি।
এক সাদা চামড়ার মানুষের রেস্তরাঁয় খাবার পরিবেশন করা হয়নি মহম্মদ আলিকে। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে গর্জ ওঠেন অলিম্পিক পদকজয়ী বক্সার। প্রতিবাদ জানিয়ে সেই পদক নদীকে ফেলে দেন আলি। যদিও অলিম্পিক কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ৩৬ বছর পর বক্সারকে তাঁর পদকের প্রতিরূপ ফিরিয়ে দেন অলিম্পিক কমিটি। ১৯৯৬ সালে আটলান্টা অলিম্পিকে মশাল জ্বালিয়ে অলিম্পিকের উদ্বোধন করেছিলেন মহম্মদ আলি।
আন্দোলনকারী কুস্তিগিরদের মধ্যে অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জেতেন বজরং পুনিয়া ও সাক্ষী মালিক। গঙ্গায় পদক বিসর্জনের জন্য হরিদ্বারের হর কি পৌড়ি ঘাটে গিয়েছিলেন। স্থানীয় মানুষ তাঁদের পদক বিসর্জনে নিষেধ করেন। শেষে কৃষক নেতা নরেশ টিকায়েতের হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখেন কুস্তিগিররা।