একজন বিশ্বকাপার। অন্যজন ইউরোকাপার। কিন্তু মরশুমের শুরুতে প্রত্যাশামতো খেলতে পারছিলেন না জেসন কামিন্স এবং আর্মান্দো সাদিকু। কিন্তু মোহনবাগানের জোড়া ফলা প্রমাণ করে দিলেন ওস্তাদের মার শেষ রাতে। জোড়া রত্নকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিল সবুজ মেরুন গ্যালারি। সমর্থকরা মেলে ধরলেন বিরাট ব্যানার। শোলে সিনেমার আদলে তৈরি করা ব্যানারে জয় এবং বীরু হলেন কামিংস এবং সাদিকু। একে অপরের হাত ধরে হাত ধরে আছেন তাঁরা।
ইতিহাস সৃষ্টির রাতে যুবভারতীতে কত রং! ৬১ হাজারের গ্যালারি ক্ষণে ক্ষণে ফেটে পড়েছে উচ্ছ্বাসে। ডার্বিজয়ের উচ্ছ্বাসকেও ছাপিয়ে গিয়েছে দেশের শ্রেষ্ঠ ক্লাব হওয়ার আনন্দ। খেলা শুরুর আগেই উন্মাদনা ছিল চরমে। ম্যাচের তিন ঘণ্টা আগেই টিকিট সোল্ড আউট। জনি কাউকো, দিমিত্রি পেট্রাটোস, শুভাশীষ বসু, অনিরুদ্ধ থাপা, বিশাল কাইথরা যেন ফিরিয়ে আনলেন ময়দানি ফুটবলের বিশুদ্ধ আবেগ, ফিরিয়ে আনলেন প্রাণ।