আবার অপেক্ষা। অপেক্ষা আরও একটা বিশ্বকাপের জন্য। চার বছর পর কে থাকবেন, কে থাকবেন না, সে তো অন্য প্রশ্ন। কিন্তু রবিবাসরীয় আমেদাবাদ পরবর্তী সময় থেকে একটাই কাটাছেঁড়া চলছে, ভারত কেন হেরে গেল ? কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, কী করলে ভারত জিততে পারত, সেই আলোচনা করা।
সত্যিই কী করলে আমেদাবাদে ভারত জিততে পারত ? ভারতের প্রাক্তনদের দাবি, এই ম্যাচ খেলতে নামার আগে অজিদের সম্পর্কে আরও হোমওয়ার্ক করা প্রয়োজন ছিল রোহিতদের। কারণ, ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দল এই অস্ট্রেলিয়ার পিছনেই তিন স্পিনারকে কাজে লাগিয়েছিল। তাই একসময় ২১২ রান মনে হচ্ছিল ৩৫০ রানে সমান। তাই এই অস্ট্রেলিয়াকে রুখতে রাহুল দ্রাবিড়দের উচিত ছিল, সচিন-সৌরভ-সেওয়াগদের জন্য ভারতীয় ড্রেসিং রুমের দরজা খুলে দেওয়া। কারণ, ভারতের বিরুদ্ধে এই ম্যাচ খেলতে নামার আগে ঠিক এই কাজটাই করেছিল অস্ট্রেলিয়া। রিকি পন্টিং, শেন ওয়াটসনদের জন্য তাঁদের দরজা হাট করে দিয়েছিলেন প্যাট কামিন্সরা।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের উচিত ছিল ফাইনালে আস্তিন থেকে রবিচন্দ্রণ অশ্বিনকে বার করে দেওয়া। প্রাক্তনদের দাবি, পিচ রিড করতে পারেননি ভারত অধিনায়ক। দুপুরে টসের সময় তিনি দাবি করেছিলেন, টস জিতলে তিনি আগে ব্যাট করতেন। কিন্তু রাতে তিনি বলে গেলেন, সন্ধ্যের পর থেকে এই পিচে ব্যাট করা সহজ হয়ে গিয়েছিল। পিচ রিপোর্ট করতে গিয়ে প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীর বার্তা ছিল, এদিন কোনও পরীক্ষা নয়। সেই পরীক্ষাই করতে গেলেন রোহিত। সূর্যতে পিছনে ঠেলে পাঠানো হল জাডেজাকে। যাঁর ব্যাটে কোনও রানই নেই।
এই বিশ্বকাপ জিততে না পারলে আবার ১২ বছরের অপেক্ষা। ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের দিন এই দাবি করেছিলেন রবি শাস্ত্রী। কিন্তু কেন ১২ বছর তা ব্যাখ্যা করেননি। রবিবাসরীয় আমেদাবাদে হারের পর হয় সেই ব্যাখ্যা পাওয়া যেতে পারেন। কারণ, চার বছর পর কে থাকবেন, কে থাকবেন না, এই সময়ে দাঁড়িয়ে কে বলতে পারেন ?