সেই দিনটা কথা এখনও মনে আছে তাঁদের। ভারতীয় ড্রেসিং রুমে প্রথম দেখা সচিনের সঙ্গে বিরাটের। ছোট্ট বিরাটকে বলা হয়েছিল, প্রথম দিন সচিনকে দেখলে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে। তাই নিজের ছোটবেলার হিরোকে দেখে আজ থেকে ১২ বছর আগে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন বিরাট। মজার ছলেই সেই প্রণাম যেন আর্শীবাদ হয়ে ছিল তাঁর জীবনে। বুধবারের ওয়াংখেড়েতে গুরুকে আরও একবার নমস্কার করলেন শিষ্য বিরাট কোহলি। ছাপিয়ে গেলেন সচিন তেন্ডুলকরকে।
গ্যালারিতে জীবনসঙ্গী অনুষ্কা, তার একটু দুরে নিজের তাঁর আইডল সচিন তেন্ডুলকর। সেই মঞ্চে একদিনে ক্রিকেটে সেঞ্চুরির হাফ সেঞ্চুরি। তাই ভারতের ইনিংস শেষে বিরাটকে এসে জড়িয়ে ধরলেন সচিন। হাত মিলিয়ে গেলেন ডেভিড বেকহ্যামও। আর বিরাট জানালেন, এর থেকে ভাল মঞ্চ আর কিছু হতে পারে না। কারণ, বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে তাঁর এই ১১৭ রান ভীষণ জরুরি ছিল।
আরও পড়ুন : সচিন ভূমে তেন্ডুলকরকে ছাপিয়ে একদিনের ক্রিকেটে ৫০ শতরান বিরাট কোহলির
সাড়ে তিনশো রান হবে, তিনিও আশা করেছিলেন। কিন্তু প্রায় চারশো রানে গিয়ে ভারতের ইনিংস থামবে, তা আশা করেননি কোহলি। রোহিত থেকে শ্রেয়স প্রশংসা তাঁর গলায়। ব্যক্তিগত মাইল ফলক বা সচিনকে ছাপিয়ে যাওয়ার আনন্দ নয়। বিরাটের চোখে এখন আমেদাবাদ। ১৯ তারিখ বিশ্বকাপটা আরও একবার তোলার।