সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে প্যারিসে সরিয়ে আনা হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল (Champions League Final)। কিন্তু ফাইনালের আগে সমর্থকদের সঙ্গে গণ্ডগোলের জেরে উত্তপ্ত প্যারিসের স্টেডিয়াম। যার জেরে চলল কাঁদানে গ্যাস (Tear Gas)। নামল সেনাবাহিনী। সরকারি তদন্তের দাবি জানাল লিভারপুল (Liverpool)।
প্যারিসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল দেখতে ইংল্যান্ড ও স্পেন থেকে অনেক সমর্থকই এসেছিলেন। ফাইনালের আগে লিভারপুলের সমর্থকদের ঢোকা নিয়ে বিপত্তি তৈরি হয়। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি, মারামারি হয় সমর্থকদের। কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে হয় নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা পুলিশকে। এই গণ্ডগোলের জেরেই ৩৭ মিনিট পরে খেলা শুরু হয়।
আরও পড়ুন: স্বপ্ন চুরমার সালাহদের, রিয়ালের মাথায় ফের চ্যাম্পিয়নস লিগের মুকুট
প্যারিসের পুলিশ জানিয়েছে, লিভারপুলের সমর্থকরা স্টেডিয়ামের বাইরে টিকিটের প্রথম চেকপয়েন্ট থেকে জোর করে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্টেডিয়ামের ওই অংশে বসার কোনও আসনই ছিল না। ব্যারিকেড ভেঙে ঢোকার চেষ্টা করতেই টিয়ার গ্যাস চালায় পুলিশ। খেলা শুরু হওয়ার পরেও প্রায় হাজার সমর্থক স্টেডিয়ামের বাইরে ছিল বলে জানা গিয়েছে। লিভারপুলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মাঠে তখনও অনেক আসন ফাঁকাই ছিল।
এসব গণ্ডগোলের মধ্যে উয়েফার (UEFA) পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়, নিরাপত্তার কারণে ১৫ মিনিট পরে খেলা শুরু হবে। কিন্তু আরও দেরি হওয়ায় ওয়ার্ম আপ সেশন ছেড়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান লিভারপুলের ফুটবলাররাও।
সমর্থকদের ওপর এই অত্যাচারে রীতিমতো বিরক্ত লিভারপুল। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, "স্টেডিয়ামে ঢোকা নিয়ে যে গণ্ডগোল হয়েছে, তাতে আমরা হতাশ। লিভারপুল সমর্থকরা মাঠে ঢোকার সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরো ভেঙে পড়ে। ফুটবলের অন্যতম বড় ম্যাচ এটি। যা ঘটেছে, তেমন অভিজ্ঞতা না হলেই ভালো হত। এই বিষয়ে সরকারি তদন্তের দাবি করছে লিভারপুল।" যদিও উয়েফার দাবি, ভুয়ো টিকিট নিয়ে সমর্থকরা মাঠে ঢোকার চেষ্টা করছিল। তা আটকাতেই এই ঘটনা ঘটেছে।