প্রয়াত হলেন কিংবদন্তি ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত (Surojit Sengupta)। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলের অন্যম শ্রেষ্ঠ মিডফিল্ডার। সুরজিৎ সেনগুপ্তের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ কলকাতা ময়দান। তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।
লাল হলুদ,সবুজ মেরুন, সাদা কালো- প্রতিটি দলের জার্সিতেই ঝলমল করেছেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। আমেদ খান, পিকে ব্যানার্জি, তুলসীদাস বলরামের, চুনী গোস্বামীদের পরে ফুটবল ময়দানে শিল্পসুষমার অনবদ্য নির্দশন রেখেছেন তিনি। সুরজিৎ সেনগুপ্তের স্কিলে আচ্ছন্ন হয়েছে একাধিক প্রজন্ম।
ভারতবর্ষের অন্যতম শিল্পী ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত উঠে আসেন ব্যান্ডেল থেকে। কলকাতার খিদিরপুর ক্লাবে তাঁর বেড়ে ওঠা। ১৯৭৪ সালে কিংবদন্তি শৈলেন মান্নার হাত ধরে মোহনবাগানে আসেন সুরজিৎ। পরের বছরেই চলে যান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব ইস্টবেঙ্গলে। সেবার আইএফএ শিল্ড ফাইনালে মোহনবাগানকে ৫-০ পরাজিত করে ইস্টবেঙ্গল। প্রথম গোলটি এসেছিল সুরজিতের পা থেকে।
১৯৭৯ সাল পর্যন্ত লাল হলুদ জনতাকে মাতিয়ে রেখেছিলেন সুরজিৎ সেনগুপ্ত। ১৯৮০ সালে যোগ দেন মহামেডানে। ১৯৮৩ সালে আবারও মোহনবাগানের জার্সি পরেন তিনি। অবসরের পর ক্রীড়া সাংবাদিকতাতেও সুনাম কুড়িয়েছিলেন এই কিংবদন্তি ফুটবলার।
সুরজিৎ সেনগুপ্তের ড্রিবল এখনও ময়দানের প্রবীণ দর্শকের চোখে লেগে রয়েছে। কিন্তু মৃত্যুর কড়া ট্যাকেল এড়াতে পারলেন না তিনি।
বিদায়, সুরজিৎ সেনগুপ্ত। কলকাতা ময়দান আরও খানিকটা নিঃস্ব হল আজ।