রোনাল্ডো, মেসি, নেইমার। ফুটবলবিশ্বে তিন মহাতারকা যেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর। মেসি (Lionel Messi) জানিয়ে দিয়েছেন, কাতারই তাঁর শেষ বিশ্বকাপ (Qatar World Cup 2022)। রোনাল্ডো (CR7) এখনও কিছু ঘোষণা করেননি। কিন্তু বয়স ৩৭। আগামী বিশ্বকাপও অনিশ্চিত সিআর সেভেনও। আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে পারেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার (Neymar Jr)। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, তিন মহাতারকার শুরুটা ঠিক কীভাবে হয়েছিল।
২০০৫-এর অগাস্ট মাস। হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে প্রথম জাতীয় দলে সুযোগ পান লিওনেল মেসি। স্পেন ও আর্জেন্টিনা, দুই দেশের হয়েই খেলার সুযোগ ছিল মেসির। ঝাঁকড়া চুল, গায়ে দীপ্ত আভা, ১৯ নম্বর নীল-সাদা জার্সি। বল নিয়ে তীব্র গতিতে দৌড়। বাঁ-পায়ের জাদুতে ধরাশায়ী বিপক্ষ। রোনাল্ডিনহো, জিদান, বেকহ্যামদের দুনিয়ায় নতুন তারকার আবির্ভাব। ১ মার্চ ২০০৬। প্রথম ফুটবল বিশ্বকাপ মেসির। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম গোল করলেন লিও। সেই শুরু। দেশ ও ক্লাবের হয়ে এত গোল করেছেন। ২০১৪ সালে ফাইনাল থেকে হেরে বিদায়। ৪টি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ১৯টি ম্যাচ খেলে ৬টি গোল করেছেন মেসি। এবার কাতারে সব হিসেব মিটিয়ে নেওয়ার ইচ্ছে এলএম টেনের।
আরও পড়ুন: কিক-অফের অপেক্ষায় কাতার, রঙবাহারি দোহা মুখ ঢেকেছে বিশ্বকাপের বিজ্ঞাপনে
মেসির থেকে অনেকটা আগেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোয। ১২ অগাস্ট ২০০৩।প্রথম কাজাখাস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ম্যাচ। লুই ফিগোর পরিবর্তে মাঠে নামেন তিনি। এরপর ২০০৪ ইউরো কাপ। চ্যাম্পিয়ন হয় পর্তুগাল। সেই টুর্নামেন্টে প্রথম নজর কাড়েন রোনাল্ডো। ২০০৬ জার্মানির বিশ্বকাপ। সেবার মেসির সঙ্গে প্রথম নামেন রোনাল্ডো। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২১। ১৭টি ম্যাচ খেলে বিশ্বকাপে মোট ৭টি গোল করেছেন রোনাল্ডো। এবার কাতার বিশ্বকাপে পর্তুগালকে ফাইনালে তোলাই লক্ষ্য সিআর সেভেনের।
২০১০ সালে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় স্পেন। সেই বছরই ফুটবল বিশ্ব খুঁজে পায় এক ঝাঁক নতুন ব্রাজিলিয়ান তারকাকে। নেইমার তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ২০১০ বিশ্বকাপেই প্রথম অভিষেক করেন নেইমার। সেই শুরু। এরপরই বার্সেলোনায় যোগ দেন তিনি। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপে ব্রাজিলকে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু সেই বিশ্বকাপে জার্মানির বিরুদ্ধে জঘন্য হার। ২০১৮ বিশ্বকাপেও সেভাবে ভাল ফল করতে পারেনি ব্রাজিল। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৬টি গোল করেছেন নেইমার। এবার কাতারে দেশকে ২০ বছর পর বিশ্বকাপের স্বাদ এনে দেওয়াই স্বপ্ন তাঁর।