বিশ্ব ক্রিকেটে যেমন দক্ষিণ আফ্রিকা, বিশ্ব ফুটবলের তেমন নেদারল্যান্ডস। জুয়ান ক্রুয়েফ থেকে রুড গুলিট বারে বারে বিশ্বকাপে মঞ্চে এসেও ফিরে যেতে হয়েছে শুধুমাত্র চোকার্স তমকা গায়ে নিয়ে। ১৯৮৮ সালে ইউরোপ সেরা হয়ে ১৯৯০ সালে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়েছিল স্বপ্নের তৎকালীন হল্যান্ড। কিন্তু ফিরতে হয়েছিল খালি হাতেই। কিন্তু এবার লুই ভ্য়ান গলের দল কিন্তু অন্য় কিছু করতে পারে। কারণ, চার বছর আগে রাশিয়ায় তারা যোগ্য়তা অর্জন করতে পারেনি। ইউরোপের প্রথম দল হিসাবে এবার কাতার বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেয়েছ ইউরোপের টিম অরেঞ্জ। সোমবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে নটায় গ্রুপের ম্য়াচে প্রতিপক্ষ জায়েন্ট কিলার সেনেগাল।
২০০২ সালে বিশ্বকাপের মঞ্চে সেরা অভিষেক হয়েছিল সেনেগালের। প্রথম ম্যাচেই তারা হারিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্ব চ্য়াম্পিয়ন ফ্রান্সকে। শুধু হারিয়েই দেয়নি, এই একটা হারেই ভেঙে গিয়েছিল ফ্রান্স। প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন জিদানরা। এবারও কাতার আসার আগে সেনেগাল কোচ টোডো জানিয়েছেন, সবাইকে হারাতেই তাঁরা কাতার আসছেন। শুধু আক্ষেপ এই দল সাদিও মানেকে পাওয়া যাবে না। চোট জেনেও মানের নাম স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল। কিন্তু কাতারে এসে মানের আসা ছাড়তে হয় আফ্রিকান নেশসন কাপ জয়ীদের।
সেনেগাল ম্য়াচের আগে বেশ সতর্ক ডাচরা। কোচ লুই ভ্য়ান গল জানিয়ে দিয়েছেন, দূর্গ সামলে আক্রমণে যাওয়া হবে। কারণ, যা গ্রুপ তাতে একটা ম্য়াচ হেরে যাওয়া মানেই পরের রাউন্ডের রাস্তা কঠিন করে ফেলা। ১৯৭৪, ১৯৭৮, ২০১০ সালের রার্নাস নেদারল্যান্ডস। বিশ্বকাপে প্রাপ্তি বলতে এইটুকু। এছাড়া আছে প্রচুর কার্ড দেখার রেকর্ড। কাতারে কি তারা পারবে চোকার্স তকমা মুছতে ?