বুয়েন্স আয়ার্স বিমানবন্দর। স্থানীয় সময় তখন মধ্যরাত। রোম থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে এলেন লিও মেসি। সঙ্গে গোটা দল। বিমান থামতেই প্রথমে দেওয়া হল ওয়াটার স্যালুট। তৈরিই ছিল হুডখোলা বাস। একে একে উঠে পড়লেন সবাই। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে চলতে শুরু করল বাস। থুড়ি গড়াতে শুরু করল। কারণ বুয়েন্স আয়ার্সের রাস্তার দু ধারে তখন তিল ধারণের জায়গা নেই।
সময় গড়াচ্ছে, মেসিদের নিয়ে হুডখোলা বাসও গড়াচ্ছে। কিন্তু এগোচ্ছে কী ? কোথায় এগোবে। যাবেটা কোন দিক থেকে। ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের সেলিব্রেশন। বাসের একবারে মগে বসে আছেন দুই বন্ধু। ডি মারিয়া এবং লিও মেসি। কখনও তাঁরা হাসছেন, কখনও তাঁরা নাচছেন। এই করেই চলছে, থামছে মেসিদের। আর শুভেচ্ছা হিসাবে উড়ে আসছে টেডি থেকে নীল সাদা জার্সি।
আর কয়েকদিন পরেই বড়দিন। সান্তাক্লজ আসবেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাতেই যেন বড়রাত হয়ে গেল বুয়েন্স আয়ার্সে। বাসের মাথায় বসে আছেন আধুনিক সান্তাক্লজ। ক্রিশমাসের কেক কাটার আগে দেশের জন্য নিয়ে এসেছেন বিশ্বকাপ।