খেল যখন শুরু হয়েছিল, তখন সবার বাজি ছিল ডেনমার্ক। বিশেষ করে এরিকসেনের ফিরে আসার ম্য়াচে ড্যানিস ডিনামাইডদের সবাই এগিয়ে রেখেছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পর সবার কুর্নিশে মাঠ ছাড়ল তিউনিশিয়া। আসলে মঙ্গলবার কাতার যেন একে একে অঘটনের পর্দা ফাঁস করতে শুরু করল। বিশ্বকাপের অভিষেকে প্রথম ম্য়াচে তৎকালীন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পশ্চিম জার্মানিকে রুখে দিয়েছিল উত্তর আফ্রিকার এই দেশ। প্রায় চার দশক পর বিশ্বকাপের প্রথম ম্য়াচে ইউরোপের কোনও হেভিওয়েট আটকে গেল তিউনিশিয়ার কাছে। ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্য় হয়ে।
অনেকটা ভারতের মতোই পরিস্থিতি তিউনিশিয়ার। বিশ্বকাপের আগে তাদের ফুটবল সংস্থায় সরকারি হস্তক্ষেপ করা হয়েছিল। ফিফার হুমকি ছিল, ভোট না হলে বিশ্বকাপে তারা খেলতে পারবে না। চটজলদি ফুটবল সংস্থাকে সরকারি হস্তক্ষেপ মুক্ত করেই কাতারে এসেছে তিউনিশিয়া। এদিনের ম্য়াচে দাপিয়ে ফুটবল খেললেন ডেগার, আবিদি, মাসকানিরা। প্রথমার্ধ যদি ডেনমার্কের হয়, তাহলে শেষ পঁয়তাল্লিশ মিনিট অবশ্য়ই তিউনিশিয়ার।
শুরু থেকে প্রেসিং ফুটবল খেলেন ড্যানিসরা। ১০ থেকে ২৫ মিনিটের এই স্পেলে বারবার তিউনিশিয়ার দূর্গে হানা দেন এরিকসেন, ওলসেনরা। তালবি এবং মেরিয়ার কম্বিনেশনে থমকে যায় ড্য়ানিস ঝড়। তবে প্রথম ম্য়াচে তিউনিশিয়া যা খেলা দেখাল, তাতে ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়া দু জনকেই বেগ দিতে পারে তারা।