একটি ভুল। সেটাও আত্মঘাতী। গোটা ম্যাচে ভাল খেলেও হারতে হল ইমামি ইস্টবেঙ্গলকে। এই নিয়ে টানা ছটি ডার্বিতে হার লাল-হলুদ শিবিরের। তিন বছর আগে শেষ ডার্বি যুবভারতীতে জিতেছিল সবুজ মেরুন। রবিবারও শেষ হাসি হাসল হুয়ান ফেরান্দোর টিম।
ম্যাচের আগের দিন বৃষ্টিতে অনুশীলন করতে পারেনি ইমামি ইস্টবেঙ্গল। ডার্বিতে নামার আগে এই নিয়ে চিন্তা ছিলই। এদিন দলগঠনে আরও চমক দেন তিনি। প্রথমার্ধে চার বিদেশিকেই দলে রাখেন তিনি। কিরিয়াকু, ইভান গঞ্জালেজ, লিমা ও এলিয়ান্দ্রো। এদিকে মোহনবাগান টিমে চার বিদেশি ছিলেন ফ্লোরেন্তিন পোগবা, জনি কাউকো, কার্ল ম্যাকহিউ ও হুগো বোমেস। ম্যাচের শুরু থেকেই এদিন আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল এটিকে মোহনবাগান। বারবার কাউকো, লিস্টন কোলাসো, বোমেস, আশিক আক্রমণ করতে শুরু করেন ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে। কোলাসোর কর্নার বাঁচাতে গিয়ে নিজেদের গোলে বল ঢুকিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের সুমিত পাসি।
ডার্বি নিয়ে আবেগ, যুবভারতীর চেনা ছন্দ, সুপার সানডেতে সবই ছিল। ৩৩ মিনিটে প্রথম সুযোগও আসে ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু আত্মঘাতী গোলে সব আত্মবিশ্বাস ভেঙে যায় লাল-হলুদ শিবিরের। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে ইতিমধ্যে নৌসেনা ও রাজস্থানের বিরুদ্ধে হারতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। এটিকে মোহনবাগানের কাছে হারের পর ডুরান্ডেও অনেকটা পিছিয়ে পড়ল লাল-হলুদ।