১৩৬ বছর আগের ভারত। সদ্য ভারতে উপনিবেশ তৈরি করেছে ব্রিটিশরা। সেই সময় ব্রিটিশ শাসিত ভারতের বিদেশ সচিব ছিলেন স্য়ার হেনরি মর্টিমার ডুরান্ড। তাঁর সঙ্গেই জড়িয়ে এদেশের ফুটবলের ইতিহাস। ১৮৮৮ সালে এদেশে প্রথম শুরু হয়েছিল ডুরান্ড কাপ। সেই সময় শুধু পুলিশ ও সেনার দলই খেলত ডুরান্ড কাপ।
প্রথম সিভিলিয়ান দল হিসেবে ডুরান্ড কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় মহমেডান এফসি। ১৯৪০ সালে প্রথম ডুরান্ড কাপ জেতে তাঁরা। সামগ্রিক ইতিহাসে সবথেকে বেশি ডুরান্ড কাপ জয়ের রেকর্ড রয়েছে মোহনবাগানের। শনিবার আরও একটি ফাইনাল খেলতে নামছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। স্বাধীনতার পর প্রথম ডুরান্ড কাপ জেতে মোহনবাগান। সালটি ছিল ১৯৫৩। প্রাক স্বাধীনতা কালে ১৯১১ সালে ইস্ট ইয়র্কশায়ারকে হারিয়ে IFA শিল্ড জেতে মোহনবাগান। ১৯৫৩ সালে প্রথমবার ডুরান্ড কাপ জয় সবুজ-মেরুনের। সেই শুরু। এখনও পর্যন্ত ১৭বার ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দল। ২০২৩ সালে শেষবার ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস।
সাত ও আটের দশকে ডুরান্ড কাপে আধিপত্য দেখায় মোহনবাগান। ১৯৫৯ ও ১৯৬০ সালে ধারাবাহিকভাবে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল, টানা মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন হয় মোহনবাগান। সেই সময় মোহনবাগান টিমে নক্ষত্রের সমাবেশ। সেই সময় বাগানের কোচ ছিলেন পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশিক্ষণে মোহনবাগানের স্বর্ণযুগের সূচনা হয়। ১৯৯০ সালে বেঙ্গালুরুতে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে ৪-১ ব্যবধানে জয়ী হয় মোহনবাগান। যে রেকর্ড এখনও অক্ষত মোহনবাগানের। শনিবার ডুরান্ড ফাইনালে এবার প্রতিপক্ষ নর্থ ইস্ট ইউনাইনেড। নতুন ইতিহাস লিখতে তৈরি মোহনবাগান।