১৯ বছর আগে ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজধানী। দিল্লির রাজপথে ভিড় জমান ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা। সেই দিন আর নেই। এখন ডুরান্ড কাপের ফাইনাল হয় কলকাতায়। কলকাতার ফুটবল উন্মাদনাকে কাজে লাগাতে চেয়েছিল ডুরান্ড কাপ টুর্নামেন্টের আয়োজকরা। কিন্তু এত কিছু পরেও টিকিট বিক্রি নিয়ে অব্যবস্থা পিছু ছাড়ল না। পাশাপাশি সমর্থকদের হেনস্থার ঘটনারও অভিযোগ।
শুক্রবার সকাল থেকে ডুরান্ড কাপের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। প্রথম দিনের শেষেই আয়োজকরা জানিয়ে দেন টিকিট শেষ। প্রবল বৃষ্টিতে ভোর থেকে অপেক্ষা করেও টিকিট নেই। এত টিকিট গেল কোথায়। ডার্বি ম্যাচে দেখা গিয়েছে অনেক গ্যালারি ফাঁকা। এই ম্যাচে দর্শক সংখ্যা ৩২ হাজার। ডুরান্ডের গ্রুপ পর্বের ম্যাচ থেকেও কম। অথচ বিক্রিই হল না অনেক টিকিট। এই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সমর্থকরা।
এদিন ম্যাচের শুরুতে দেখা যায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। ক্রীড়া মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে তিনি স্টেডিয়ামে এসে ফুটবলারদের সঙ্গে হাত মেলান। ডুরান্ডের তরফে ৪০ মিনিটের অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানেও চারজন প্যারাট্রুপার যুবভারতীর মাঠে নামেন। সেনার মোটরবাইট আরোহীদের কৌশলও দেখা যায়। কলকাতা পুলিশের বাইক বাহিনী ও উইনার্স দলের সদস্যরাও মাঠে ছিলেন।