সাড়ে ৫০০ বছরের প্রাচীন জনপদ। দক্ষিণ আমেরিকার এক টুকরো দেশ ব্রাজিল, যাদের দিনযাপনে লেগে থাকে ফুটবলের মহামানবিক স্কিল। জন্ম, বেড়ে ওঠা আর মৃত্যুতে ড্রিবলিং, ট্যাকল, মার্কিং। ব্রাজিলের ফুটবলও তাই কখনও অ্যামাজনের মতো রহস্যময়। কখনও আল্পস পর্বতমালার মতো বিস্তৃত ও উঁচু। আবার কখনও আতলান্তিকের নীল জলের মতো গভীর। সোমবার রাতে কাতারের 974 স্টেডিয়ামে সেই ব্রাজিলের এগারো জনের দিকে আরও একবার তাকিয়ে থাকবে তামাম দুনিয়া। সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচে জিতলেই সরাসরি নকআউটে উঠবে টিম।
ফুটবল প্রতিভার ফ্যাক্টরি ব্রাজিল। প্রথম ম্যাচ দেখার পর এই বিশ্বকাপে নেইমারের থেকেও তরুণ প্রজন্মের খেলা দেখার আগ্রহ অনেকটাই বেশি। কোচ তিতে নিজেও সেটা জানেন। নেইমার ছাড়াও টিমে হাজারও বিকল্প। সুইজারল্যান্ড ম্যাচে ব্রাজিলের আক্রমণ সামলাবেন গ্র্যাব্রিয়েল জেসাস ও গুইলহার্মে পেদ্র ও ভিনসিয়াস জুনিয়র। গত ম্যাচে অনবদ্য গোল করা রিচার্লিসনের দিকে নজর থাকবে। কোপা আমেরিকার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে হারের পর এখনও অপরাজিত সেলেকাওরা। এবার বিশ্বকাপে প্রত্যেকবারের মতো সমান প্রত্যাশা। প্রত্যেক ম্যাচে নিজের জাত চেনাতে তৈরি ব্রাজিল।
ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে জিতে ভাল ছন্দে সুইৎজারল্যান্ড। গত ম্যাচে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছেন ইয়ান সমাল, মুরাত ইয়াকিন, ভ্লাদিমির পেটকোভিচরা। ব্রাজিলের রক্ষণের সামনে তাঁরা কতটা সচ্ছন্দে খেলতে পারবেন, এখন সেটাই প্রশ্ন।