এক বিশ্বকাপ। তা পাওয়ার জন্য কত লড়াই। তা সে মাঠে হোক, বা মাঠের বাইরে। আজ থেকে আট বছর আগেই ফিফা ঘোষণ করেছিল, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ হবে কাতারে। এই ঘোষণা মধ্য়ে তখন কেউ কোনও ভুল খুঁজে পায়নি। কিন্তু রাশিয়া বিশ্বকাপে ঠিক আগে কাতারের বিশ্বকাপ পাওয়া নিয়ে বোমা ফাটিয়েছিল এক মার্কিন দৈনিক। তারা ফাঁস করেছিল, টেবলের উপরে নয়, টেবলের নিচ দিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে কাতার। এই কাণ্ডে জড়িয়ে ফিফার তাবড়ও সব কর্তারা। হ্য়াঁ ঠিক, মার্কিন দৈনিকের সেই খবরে কোনও ভুল ছিল না। এই ঘটনার জন্য জেল হয়েছিল ফিফার প্রাক্তন সভাপতি সেফ ব্লাটারের। জেলে যেতে হয়েছিল তৎকালীন ইউফা প্রেসিডেন্ট মিশেল প্লাতিনিকেও।
তা-ও চার বছর অতীত হয়ে গেল। এই অভিযোগের মধ্যেও তৈরি হয়েছে কাতার। গত চার বছরে দেশে নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করে ফেলেছে। যা রেকর্ড। তাই আর কয়েক ঘণ্টা আগে আর অতীত নয়, এখন সামনের দিকে তাকাতে চায় দোহা। শহরের অলি-গলিতে যেন রমজানের আলো। গোটা শহরটা ছেয়ে গিয়েছে বিশ্বকাপের মোড়কে। বড় রাস্তা থেকে বাই লেন, সব জায়গাতেই ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা। এই প্রথম আরব দেশে হবে ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। আয়োজক দেশ হিসাবে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলবে তেল রাষ্ট্র।
সব দল প্রায় এসে গিয়েছে। এসে গিয়েছেন তাদের সমর্থকরা। দোহার রাস্তায় এখন গিজ গিজ করছে ভিন দেশী তারাদের মুখ। কেউ সেলফি তুলছেন। কেউ আবার মেক্সিকান টুপিতে নিজেদের সাজিয়েছেন। এরমধ্য়েই দেখা যায় একদল ভারতীয় মুখ। যাঁরা মেসি দেশের নীল-সাদা জার্সি গায়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। বালির ঘড়ি উলটে দিয়েছে কাতার। শুরু হয়ে গিয়েছে ফাইনাল কাউন্টডাউন। হাতে আর কয়েক ঘণ্টা।