দ্য কিং ইজ ব্য়াক। লুসেইল স্টেডিয়ামে মেসির পায়েই অভিশাপ কাটল। ম্য়াচ শেষ হতেই দোহায় রাস্তা বেরিয়ে পড়ল বিজয় মিছিল। আর বুয়েন্স আয়ার্স ভেসে গেল উচ্ছ্বাসে। শনিবার ভারতীয় সময় মধ্যরাতের এই ম্য়াচের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সবাই। কারণ, এই একটা ম্য়াচ আর্জেন্টিনার ফুটবল ভাগ্য বিশ্বকাপের মঞ্চে বদলে দিতে পারত। সেটা হতে দিলেন না সেই লিও মেসি। চার বছর আগেও নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে তিনি গোল করে দলকে অক্সিজেন দিয়েছিলেন। এবারও দিলেন।
এক সপ্তাহ আগে এই স্টেডিয়ামে সৌদি আরবকে কাছে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু শনিবার রাতে মেক্সিকোর বিরুদ্ধে মেসিরা জিততেই বদলে গেল দোহার রাস্তার রং। শয়ে শয়ে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের সঙ্গে মিশে গেলেন ভারতীয়, জাপানি, কাতারি মেসি ভক্তরা।
অন্যদিকে কয়েক হাজার মাইল দূরে বুয়েন্স আয়ার্সে তখন খুশির জোয়ার। তাঁদের ঘরের ছেলে এবার বিশ্বকাপ আনবেনই। এই বিশ্বাস নিয়ে মেক্সিকো ম্য়াচ দেখতে বসেছিল আর্জেন্টিনা। নব্বই মিনিট পর তাঁদের স্বপ্ন সফল। মেসির পায়ে গোলে স্বপ্নপূরণ। স্বাধীনতার যুদ্ধ জয়ের আনন্দে ভাসছে আর্জেন্টিনার প্রতিটি অলি-গলি। দু ম্য়াচে তিন পয়েন্ট। তালিকায় সৌদি আরবের সঙ্গে এক মেরুতে। আর্জেন্টিনার শেষ ম্য়াচ পোল্য়ান্ডের সঙ্গে। অন্যদিকে সৌদি আরব খেলবে মেক্সিকোর সঙ্গে। কে যাবে পরের রাউন্ডে, তা নিয়ে এখন থেকে শুরু হল নতুন কাউন্টডাউন।