বৃহস্পতিবার কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে উরুগুয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার তারকা সন হিউইং মিনের ফিটনেস যথেষ্ট চিন্তায় রেখেছিল দলকে গত ৩ সপ্তাহ ধরে। বিশ্বকাপে তাঁকে প্রথম দলে পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছিল সংশয়। সেই মেঘ কেটে যাওয়ায় দলের ভিতর স্পষ্টতই স্বস্তির আবহাওয়া। গত ১ নভেম্বর চ্যাম্পিয়নস লিগে মার্সেই-এর সঙ্গে খেলায় চোট পান টটেনহ্যামের এই স্ট্রাইকার। তাঁর চোখে আঘাত লাগে। অস্ত্রোপচার চলার পরে চোখে মাস্ক পরেই অনুশীলনে নামেন তিনি। গত সোমবার প্রথমবার হেড করেন প্র্যাকটিসে। যা দেখে সমর্থকদের মধ্যেও আশার আলো। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার অপর দুই তারকা হোয়াং হি চ্যান এবং হোয়াং উই জো'র ফর্ম নিয়ে বেশ চিন্তায় রয়েছেন দলের কোচ পাওলো বেন্টো।
দক্ষিণ কোরিয়ার মতো না হলেও বিশ্বকাপে নিজেদের যাত্রা শুরু আগে খুব স্বস্তিতে নেই উরুগুয়েও। চোটের জন্য প্রথম ম্যাচে দলে নাও থাকতে পারেন তারকা এডিনসন কাভানি। অন্যদিকে, উরুগুয়ের ৩৫ বছর বয়সি মহাতারকা লুই সুয়ারেজের শেষ বিশ্বকাপ হতে চলেছে কাতারে। শেষ বিশ্বকাপের জন্য রীতিমত চাঙ্গা হয়ে রয়েছেন তিনি। গ্রুপ এইচ-এ উরুগুয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেই রয়েছে পর্তুগাল এবং ঘানা। উরুগুয়ের কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ফোরলানের মতে, গ্রুপ লিগে লড়াই খুব সহজ হবে না। তিনি বলেন, 'এর কারণ পর্তুগাল। যারা গত বিশ্বকাপের থেকেও এই বছর আরও বেশি শক্তিশালী'।
সব চাপ কাটিয়ে উঠে ২৪ নভেম্বরের ম্যাচে কাতারে কীভাবে লড়াই করতে পারে এই দুই দল, এখন সেটাই দেখার।