এমবাপে না রোনাল্ডো ? কে সেরা বলতে পারেন ? কী ভাবে বলা যায় ! কিন্তু বলতে হবে। কারণ ভারতীয় সময় রাত সাড়ে বারোটায় তাঁদের মধ্যে কেউ একজন এবারের ইউরোয় থেকে যাবেন। আর অন্যজনকে বিদায় নিতে হবে। স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে জিতেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো জানিয়েছেন, এটাই তাঁর শেষ ইউরো। তাই তাঁর জয়ের খিদে এখন সবচেয়ে বেশি। উল্টোদিকে আজ থেকে আট বছর আগে ঘরের মাঠে ইউরো কাপের ফাইনালের বদলা নিতে নিজেকে তৈরি করছেন কিলিয়ান এমবাপে। সেই ম্যাচে ফ্রান্সকে এক-শূন্য গোলে হারিয়ে ইউরোপ জয় করেছিল পর্তুগাল।
কোনও ভাবেই আর হলুদ কার্ড দেখা যাবে না। পর্তুগাল ম্যাচের আগে দলের প্রতিটি ফুটবলারের কাছে এই বার্তা ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশঁর। শুক্রবারের ম্যাচে কার্ড দেখার জন্য খেলতে পারবেন না মিডফিল্ডার আন্দ্রিয়ান রাবিউ। আর পর্তুগালের বিরুদ্ধে এমবাপে যদি আর একটি কার্ড দেখেন, তাহলে শিরে সংক্রান্তি। তখন সেমিফাইনালে উঠলে মাঠে নামতে হবে এমবাপেহীন ফ্রান্সকে।
উল্টোদিকে রোনাল্ডোর জন্য এবার তাঁরা ইউরো জিততে চান। ফ্রান্স ম্যাচের আগে এমটাই জানিয়েছেন পর্তুগিজ ফুটবলার নুনো মেন্ডস। দলের যা খবর, তাতেই সবাই ফুটছেন। আট বছর আগের ইউরো জয়ের গল্প শুনিয়ে গোটা দলকে তাতিয়ে রাখছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। যিনি এখনও এই টুর্নামেন্টে গোলশূন্য। শুক্রবার কেরিয়ারের ২১২তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবেন তিনি।
তিন বছর আগে ইউরোর মঞ্চে একইগ্রুপে ছিল ফ্রান্স ও পর্তুগাল। সেই ম্যাচ শেষ হয়েছিল ২-২ গোলে। দুটি পেনাল্টি থেকে গোল করেছিলেন রোনাল্ডো। ফ্রান্সের হয়ে গোল ছিল করিম বেঞ্জেমার। এবার কী হবে ? অপেক্ষায় জার্মানির অন্যতম বড় শিল্প শহর হ্যামবুর্গ।