আগে সিএবির পক্ষ থেকে তাঁর দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এবার তাঁর সঙ্গে কথা না বলেই রঞ্জি বোর্ডের ফাইনালে বাংলা টিমে রেখে দিয়েছে সিএবি । যা মেনে নিতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা। এতটাই অপমানিত তিনি বোধ করেন যে, মঙ্গলবার দুপুরে সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়াকে ফোন করে তিনি জানিয়ে দেন, বাংলার হয়ে আর খেলতে চান না। তিনি চলে যেতে চান ভিনরাজ্যে। সিএবি তাঁকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র দিয়ে দিক।
আসলে দিনকয়েক আগে সিএবির ঠিক করে আসন্ন রঞ্জি ট্রফি কোয়ার্টার ফাইনাল টিমে বাংলার দুই জাতীয় দলের ক্রিকেটার ঋদ্ধিমান সাহা ও মহম্মদ শামিকে খেলানোর চেষ্টা করা হবে। সিএবি কর্তারা ঠিক করেন, দুজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে নেবেন। শামির সঙ্গে কথা বলা হলেও, ঋদ্ধিমানের সঙ্গে কথা বলেনি সিএবি। উল্টে সোমবার ঋদ্ধিমানকে রেখেই রঞ্জি কোয়ার্টারফাইনালের দল ঘোষণা করে দেওয়া হয়। যা মেনে নিতে পারেননি ঋদ্ধিমান। নিটফল, বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থার কাছে তাঁর বাংলা ছাড়ার আবেদন।
ঋদ্ধিমান কোথায় যাবেন, কী করবেন, কোনও কিছুই পরিষ্কার নয়। যা হবে, চলতি ঘরোয়া মরশুম শেষ হলে। এখানে বলে রাখা যাক, সিএবির সঙ্গে ঋদ্ধিমানের এই সংঘাত নতুন কিছু নয়। বেশ কয়েকমাস আগে যা শুরু হয়েছে ভারতীয় বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ঘিরে তাঁর করা এক মন্তব্যে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গত টেস্ট সিরিজের টিম থেকে বাদ পড়ে ঋদ্ধিমান বলে দিয়েছিলেন, গত বছর নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ৬১ রান করার পর তাঁকে স্বয়ং বোর্ড প্রেসিডেন্ট হোয়াটসঅ্যাপ করে জানান, তিনি যতদিন মসনদে আছেন, ঋদ্ধিকে কিছু ভাবতে হবে না। বলা বাহুল্য, সিএবির ঋদ্ধিমানের এই মন্তব্য ভাল ভাবে নেয়নি। উল্টে সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বলে দেন, সৌরভের সঙ্গে কী কথা হয়েছে ঋদ্ধির তা প্রকাশ্য করা উচিত হয়নি। দুপক্ষের সম্পর্কের অবনতি আরও হয় যখন, সিএবির যুগ্মসচিব দেবব্রত দাস বলে বসেন, বাংলার প্রতি ঋদ্ধিমানের কোনও দায়বদ্ধতা নেই। আসলে তার আগে ঋদ্ধিমান রঞ্জি গ্রুপ পর্ব থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে যায়। আর দুপক্ষের সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছল রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালের দল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে। সিএবি অবশ্য ঋদ্ধিমানের সঙ্গে সঙ্গে কী কথা হয়েছে, না হয়েছে, তা জানাতে চায়নি। এদিন রাতে সিএবি প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া এক বিবৃতি জারি করে বলেন, "ক্রিকেটার আর সংস্থার মধ্যে যে কথাই হোক না কেন, তা কঠোরভাবে দুপক্ষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। এর বাইরে আমি আর কিছু মন্তব্য করতে চাই না।" ঘটনা হল সিএবি প্রেসিডেন্ট কিছু বলুন বা না বলুন, ঋদ্ধিমানের ভবিষ্যতে বাংলা খেলা মঙ্গলবারের পর থেকে বিশ বাঁও জলে। কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা না হয় আপাতত ছেড়েই দেওয়া গেল!