কথা ছিল। যেন কথা রাখলেন। দুবাইয়ে আয়োজক দেশ পাকিস্তানকে ডেকে এনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মঞ্চে ৫১তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করলেন। আর সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের শেষ চার নিশ্চিত করল টিম ইন্ডিয়া। ৪২.৩ ওভারে ২৪২ রান তাড়া করে ম্য়াচ জিতল ভারত। ১১১ বলে ১০০ করে অপরাজিত বিরাট কোহলি।
দুবাইয়ে ভারত-পাক হাইভোল্টেজ ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু প্রথম ১০ ওভারেই দুটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। মহম্মদ শামি প্রথম কয়েক ওভার বল করে চোটের জন্য় মাঠের বাইরে চলে যান। সেই সময় শামির শূন্য়তা একাই ঢেকে দেন পান্ডিয়া। রান আউট থেকে আউট হন ওপেনার ইমাম উল হক। বাবর আজমের মতো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু ক্রিজে দাঁড়িয়ে যান সাউদ শাকিম ও অধিনায়ক মহম্মদ রিজওয়ান। ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ করেন তাঁরা। সেই পার্টনারশিপ ভাঙেন পান্ডিয়া। ৬২ রানে সাউদ শাকিলকে ফেরান তিনি। ৪৬ রানে অক্ষর প্য়াটেল বোল্ড করেন রিজওয়ানকে। এরপরই ভেঙে যায় পাকিস্তানের ব্য়াটিং লাইন আপ।
দুবাইয়ের পিচ নিয়ে ধোঁয়াশা কিন্তু থেকেই গিয়েছে। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানকে বাউন্ডারি থেকে রান তুলতে বেগ পেতে হয়েছিল। আউটফিল্ড স্লো ছিল। রিজওয়ান আউট হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ। শেষ দিকে খুশদিল আঘার ব্যাটে ৩৮ রান আসে। কিন্তু ২৪১ রানেই শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ব্য়াটিং।
পাকিস্তানের তিন পেসারকে সামলানো মুশকিল হবে। এমনই বলেছিলেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু তা হয়নি। ওপেনার রোহিত বেশ কয়েকটি ভাল শট খেললেও ২০ রান করে শাহিন শাহ আফ্রিদির ডেলিভারিতে ফেরেন। ৪৬ রান করে ফেরেন শুভমান গিল। কিন্তু বিরাট ও শ্রেয়সের জুটি ভাঙতে পারেননি পাক পেসাররা। সময় নিয়ে, স্লো রান রেট নিয়ে ক্রিজে টিকে থাকেন দুই ব্যাটসম্যান। শ্রেয়স আইয়ার ৫৬ রান করে আউট হয়ে যান। কিন্তু বিরাট শেষ বল পর্যন্ত টিকে ছিলেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে দ্রুততম ১৪ হাজার রান করে সচিনকে তো ছুঁলেন। সচিন টেস্ট ক্রিকেটে ৫১ সেঞ্চুরি করেছিলেন। সিঙ্গল ফরম্যাটে ৫১টি সেঞ্চুরির রেকর্ড কারও ছিল না। দুবাইয়ে সচিনের রেকর্ড ছুঁলেন বিরাট।