ক্যাপ্টেনসি তাঁর ধাতে কোনও দিনই সহ্য হয়নি।
স্যান্ড পেপার-কাণ্ডের পর তিনি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরার পর সিডনিতে তাঁর সেই প্রেস কনফারেন্স এখনও সবার মনে টাটকা। টেলিভিশনের পর্দায় সবাই দেখেছিলেন হাউহাউ করে কাঁদছেন স্টিভ স্মিথ। সবার সামনে শিশুর মতো স্বীকার করছেন, আমায় ক্ষমা করবেন। সব দোষ আমার।
কাট টু দুবাই।
ভারতের কাছে সেমিফাইনালে হেরে এবার একদিনের ক্রিকেট থেকে সন্ন্যাসের কথা ঘোষণা করলেন অস্ট্রেলিয়ার এই ক্রিকেটার। লেগ স্পিনের হাতটা বেশ ভালই ছিল। সেই ডান হাতে যে অনেক ক্রিকেটীয় শট লুকিয়ে আছে তা অচিরেই বুঝতে পেরেছিলেন তৎকালীন অজি অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক।
তাই লেগ স্পিনার স্টিভ স্মিথ থেকে ব্যাটার স্মিথে বিবর্তনে তিনি পাশে পেয়েছেন শেন ওয়াটসনের মতো নেতাকে। এরপর বাকিটা ইতিহাস। লারা-সচিন পরবর্তী সময়ে বিরাট-রুট-উইলিয়ামসনদের পাশে ফ্যাবুলাস ফোর হিসাবে উঠে আসত স্টিভ স্মিথের নাম।
দুবাই পরবর্তী সময়ে তাতে যেন ছেদ পড়ল। ৯৬ বলে ৭৩ রান, এটা হয়ে রইল ৫০ ওভারের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়কের শেষ একদিনের ম্যাচের স্কোর। সাদা বলের বড় ফরম্যাট থেকে নিজেকে সরিয়ে ৩৫ বছরের এই তাসমানিয়ান। শামির বলে বোল্ড হওয়ার পরেই বুঝে গিয়েছিলেন একদিনের ক্রিকেটে এবার থামতে হবে।
সেই থামার ঘোষণাই ভারতের কাছে সেমিফাইনালে হারের পর জানালেন তিনি। তবে চালিয়ে যাবেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি।