বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি শুভমান গিলের। টার্গেট ছিল মাত্র ২২৯ রান। রোহিত শর্মা শুরুতে গিলের সঙ্গে ভাল পারফরম্যান্স করেন। কিন্তু ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে ছিলেন গিল। রোহিত ৪১ রান করে ফেরেন। তিন নম্বরে নেমে ফর্ম ফিরে পেলেন না বিরাট। ২২ রানে আউট হন তিনি। ১৫ রান শ্রেয়স আইয়ারের। অক্ষর প্যাটেলকে আগে নামিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ৮ রান করে ফেরেন তিনি। শুভমান গিলের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত খেলে গেলেন কে এল রাহুল। ৪১ রান করলেন তিনি।
দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই বুমরার শূন্যতা ভরিয়ে দিলেন বাংলার পেসার মহম্মদ শামি। প্রথম ম্যাচেই পাঁচ উইকেট ভারতের এই স্পিডস্টারের। ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের পর আইসিসির মঞ্চে ফিরে এসেই বাংলাদেশের ব্যাটারদের ঘোল খাইয়ে ছেড়ে দিলেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই টস হারলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
তার ফায়দাটাই প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে তুললেন দুই ভারতীয় বোলার মহম্মদ শামি এবং হর্ষিত রানা। ২৬ রানের মধ্যে বাংলাদেশের তিন উইকেট। তার মধ্যে দুটি উইকেট শামির। একটি রানার। একসময়ে ৩৫ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারান বাংলাদেশিরা।
আর এখান থেকেই রোহিতদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেন তৌহিদ হাসান হৃদয় এবং জাকের আলি। তাঁদের ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ, ভদ্রস্থ করে বাংলাদেশের স্কোরকে। ১১৪ বলে শতরান হৃদয়ের। ১১৪ বলে ৬৮ রান করে আউট হন জাকের।
দুবাইয়ের মাঠে টস হেরে ভারত অধিনায়ক রোহিত জানান, তিনি টস জিতলে প্রথমে ফিল্ডিং করতেন। কারণ, এই মাঠে আলোয় ব্যাট করা অনেক সহজ। কেন বলেছিলেন, তা এদিন প্রমাণ করে দিলেন ভারতীয় বোলাররা। যার নিট ফল মহম্মদ শামির ৫৩ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট। স্লিপে রোহিত শর্মা ক্যাচ না ফেললে দুবাই সাক্ষী থাকত অক্ষর প্যাটেলের হ্যাটট্রিকের। সঙ্গে ফসকে গেল আরও কয়েকটি ক্যাচ।