আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করলেন ভারতের নতুন স্পিডস্টার মায়াঙ্ক যাদব। গত আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টের হয়ে ঝড় তুলেছিলেন। তাঁর বলের সর্বাধিক গতি ছিল ১৫৬.৭ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। যা ক্রিকেটবিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। সেই মায়াঙ্ক এবার জাতীয় দলের জার্সিতে অভিষেক করলেন।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচে নেমে কেমন পারফরম্যান্স করলেন মায়াঙ্ক! ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তুলে নিলেন ১ উইকেট। এক ওভার মেডেন। ইকোনমি রেট ৫.২৫। এই ম্যাচে তাঁর সর্বাধিক গতির ডেলিভারি ছিল ১৪৬.৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। সর্বনিম্ন গতি ছিল ১০৬.২ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। শেষ ওভারে দুটি বল ১৪৫-এর কাঁটা ছুঁয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেট পাওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকটা মন্দ হয়নি মায়াঙ্কের।
ম্যাচের পর নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন মায়াঙ্ক। আইপিএল চলাকালীন চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে মাঠেই নামতে পারেননি। চোট সারিয়ে ফিরেই সরাসরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। চাপা টেনশন তো ছিলই। মায়াঙ্ক জানান, অভিষেকের আগে কোচ গৌতম গম্ভীর তাঁর পাশে দাঁড়ান, আশ্বস্ত করেন তাঁকে।
মায়াঙ্কের মতে, "উত্তেজিত ছিলাম। নার্ভাসও হয়েছিলাম। চোট সারিয়ে ফিরেছি। কোনও দিন দেশের হয়ে খেলিনি। সরাসরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। এই চোট থেকে ফিরে আসার সময়টা খুবই কছিন ছিল। গত ৪ মাসে অনেক উত্থান-পতন হয়েছে। তবে এদিনের ম্যাচে গতির থেকে লেনথের দিকে নজর দিয়েছিলাম। স্পিড নিয়ে ভাবনি। ঠিকঠাক লাইন ও লেনথে বল রাখতে চেয়েছিলাম।" তবে গোয়ালিয়ারের উইকেট পেস বোলারদের সহায়ক নয়। তাই সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা পাল্টে ফেলেন বলে জানালেন মায়াঙ্ক। কোচ গম্ভীর আন্তর্জাতিক অভিষেক ম্যাচ নিয়ে বেশি ভাবতে বারণ করেছিলেন মায়াঙ্ককে। ভাবনার পদ্ধতিটাই আসল। সেটা ভাল করে কাজে লাগাতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন মায়াঙ্ক।
রবিবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করলেন মায়াঙ্ক যাদব ও নীতীশ রেড্ডি। এবার মেগা নিলামে এই দুই ক্রিকেটার ক্যাপড প্লেয়ার হয়ে গেলেন। মেগা নিলামের আগে সমীকরণ পাল্টাল লখনউ সুপার জায়ান্টস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। এবার রিটেনশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আনক্যাপড প্লেয়ারদের জন্য ন্যূনতন ৪ কোটি টাকা খরচ করতেই হত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। যখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হবে, সেই বেস প্রাইজ বেড়ে হয়ে যায় ১১ কোটি টাকা। এই দুই ক্রিকেটারকে ধরে রাখতে গেলে টিমের বাজেট অনেকটাই বাড়াতে হবে তাঁদের ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। গত মরশুমে লখনউয়ের অন্যতম পেসার মায়াঙ্ককে কি ধরে রাখবে লখনউ। নীতীশকেও কি দলে সানরাইজার্স। রিটেনশন তালিকা তৈরি করার শেষ দিন ৩১ অক্টোবর। যদি দুই ক্রিকেটারকে ছেড়ে দেয় তাঁদের ফ্র্যাঞ্চাইজি, ক্যাপড প্লেয়ার হিসেবেই তাঁদের বেস প্রাইজ শুরু হবে। কিনে নিতে পারবে অন্য যে কোনও দল।