ভিড়ে ঠাসা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। বক্সিং ডে টেস্টে মুখোমুখি ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। ইয়ারা নদীর দিক থেকে বল হাতে ছুটে আসছেন জসপ্রীত বুমরা। তাঁকে ফেস করছেন ফর্মের ফেরারিতে থাকা ডন ব্র্যাডম্যান।
কেমন হত সেই ম্যাচ ?
এমনই এক ম্যাচের কথা চিন্তা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার ও উইকেট-কিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। সদ্য শেষ হয়েছে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফর। ১০ বছর পর সিডনিতে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি রেখে ফিরেছেন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। এই হারে কিন্তু একজন জিতেছেন। তিনি যশপ্রীত বুমরা।
জেফ টমসন থেকে ডেনিস লিলি। অ্যালান বর্ডার থেকে স্টিভ ওয়া -- সবাই বুমরার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কপিল দেব পরবর্তী সময়ে যিনি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩০-এর বেশি উইকেট পেয়েছেন। যাঁর নেতৃত্বে পার্থের মতো মাঠে টেস্ট জিতেছে ভারত। সেই বুমরার কথা চিন্তা করেই বিরাট ভাবনা ভেবেছেন বিশ্ব ক্রিকেটের গিলি।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ফর্মে থাকা অবস্থায় পেলে স্যর ডনকেও ছিঁড়ে খেয়ে ফেলতেন বুমরা। গিলক্রিস্টের এই মন্তব্যে এখন শোরগোল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের অন্দরে। নিজের যুক্তিতে অনড় প্রাক্তন ক্রিকেটার। তাঁর মতে, ফর্মে থাকা বুমরাকে খেলতে নামার আগে দু বার ভাবতে হত ব্র্যাডম্যানকে। কারণ, বডিলাইনের সময় আরও ভয়ঙ্কর ভাবে পাওয়া যেত বুমরাকে। গিলক্রিস্টের আশঙ্কা, বুমরাকে ফেস করলে ব্র্যাডম্যানের গড় ৯৯ না-ও হতে পারত।
তাহলে কত হত সেই ব্যাটিং গড় ?
সে যাই হোক, অস্ট্রেলিয়া সফর শেষের পরেও বুমরাতেই মজে গোটা অস্ট্রেলিয়া। সামনে আসছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তারপর শুরু হবে আইপিএল। গ্রেগ চ্যাপেল ইতিমধ্যে মুখিয়ে রয়েছেন উপ-মহাদেশের পিচে বুমরার পেস দেখার জন্য। ভারতের প্রাক্তন কোচ জানিয়েছেন, নিজের কেরিয়ারে তিনি অনেক স্পিডস্টারকে দেখেছেন। কিন্তু যশপ্রীত বুমরা ব্যতিক্রম। গুরু গ্রেগের মতে, বুমরা যদি সেই সময় জন্মাতেন তাহলে আরও শক্তিশালী হত ক্যারিবিয়ান পেস ব্যাটারি। লাইন-আপটা ভাবুন, রবার্টস, হোল্ডিং, গার্নার, মার্শাল সঙ্গে বুমরা। যে কোনও ব্যাটিং লাইন-আপের কাছে ত্রাস হতে থাকতে পারতেন এই পঞ্চপাণ্ডব।
শুধু বিদেশিরা নন, ঘরের ছেলে বুমরাকে নিয়ে মোহিত ভারতের প্রথম বিশ্বজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। একইসঙ্গে কপিলের পরামর্শ, বুমরাকে এই সময়টা এনজয় করতে দেওয়া উচিত। কারণ, সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আসছে। সাদা বলের ক্রিকেটেও ভারতের বোলিং দফতরের নেতৃত্ব বুমরাকেই দিতে হবে। কপিলের মতে, তাঁর সঙ্গে বুমরার কোনও তুলনা হয় না। কারণ, বোলারদের কাজ এখন অনেক শক্ত। তাঁর সময় এতটা শক্ত ছিল না।
ফলে যাই হোক, সবার নজরে এখন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বলা ভাল ভারতীয় দল। যে দলের অপেক্ষায় এখন তামাম দুনিয়া। অপেক্ষা বিশ্রাম নিয়ে বুমরার মাঠে ফেরার।