চলতি বিশ্বকাপে তীরে এসে তরী ডুবেছে ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই লড়লেও শেষ পর্যন্ত যুদ্ধে পরাজিত হতে হয়েছে রোহিত শর্মার দলকে। ২০২২ সালের T20 বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে হেরেছে ভারত। তার ঠিক একবছর পরেও চলতি বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছেন রোহিত। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বযুদ্ধে জিতেছেন রোহিত। কারণ বিগত এক বছরেই গোটা দলকেই যেন বদলে দিয়েছেন তিনি। রোহিতের নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে একটি অন্য ক্রিকেট দল।
গতবছর t20 ফাইনালের পর রোহিত বলেছিলেন, গোটা ভারতীয় দলের মানসিকতা পরিবর্তন দরকার। তারপর নিজেও সেই ধরনের মানসিকতা নিয়ে চলতে শুরু করেন। ম্যাচের শুরুতেই ধীরে সুস্থে খেলা শুরু করেন তিনি। তারপর পাওয়ার প্লে-তে হাত খুলে খেলার মানসিকতা তৈরি করেছেন। যার ফলে পাওয়ার প্লে-তে বড় রান তুলতে পেরেছে ভারত।
রোহিতের এই মানসিকতার ফলে শেষ বিশ্বকাপের প্রায় প্রতিটি ম্যাচের বড় রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছে ভারত। অধিকাংশ ম্যাচেই ৫০ থেকে ৬০ রানের ইনিংস তফাত গড়ে দিয়েছে ভারত।
২০১১ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে জায়গা হয়নি রোহিত শর্মার। তারপর তিনটি এক দিনের ম্যাচ এবং পাঁচটি টি-২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। তবে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ভারত হেরে যাওয়ার পর সাজঘরে রোহিতের কান্না মনে রেখেছে সারা ভারত। এমনকি, রবিবার বিশ্বকাপেও কান্না ভেজা চোখে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত। তবে জিতেছেন নিজের লড়াইয়ে। চলতি বিশ্বকাপে নিজেই নিজেকে নিয়ে একটি ব্রান্ড তৈরি করেছে রোহিত। চোখে চোখ রেখে কীভাবে শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হয় তা শিখিয়েছেন বাকিদের। আর সেই লড়াইয়ে জিতেছেন রোহিত।