হাসি রেখেই গুজরাতের আইপিএলের হারের কথা স্বীকার করে গেলেন। হার্দিক পান্ডিয়া জানিয়ে গেলেন, হারতে হলে মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছেই হারা ভাল। কারণ, এই মানুষটিকে ভগবান অন্য ধাতুতে তৈরি করেছেন। যত দেখছেন, ততই শিখছেন বলেও দাবি করলেন হার্দিক। শুভমন গিল, সাই সুর্দশন, রশিদ খান-সহ দলের একাধিক ক্রিকেটারের কথা বললেও হার্দিক জানালেন, এদিন চেন্নাই ভাল খেলছে বলেই জিতেছে। তবে আগামী দিনে গুজরাতের লক্ষ্যের কথাও জানালেন অধিনায়ক। দাবি করলেন, তাঁর দল হৃদয় দিয়ে ক্রিকেট খেলে।
গতবারের চ্যাম্পিয়ন বনাম গতবারের টুর্নামেন্টে নবম হয়ে শুরু করা একটা দল। যাঁরা আবার চারবারের চ্যাম্পিয়নও বটে। এই সমীকরণেই সোমবার ছিল আইপিএলের ফাইনাল। শুভমন গিল পারেননি। তাঁর জায়গায় ধোনির ছক কার্যত ভেস্তে দিয়ে যান একুশ বছরের তামিলনাড়ুর ক্রিকেটার সাই সুর্দশন। তাঁর ৯৬ রান গুজরাতকে ২১৪ রান করতে সাহায্য করে। প্রথম ইনিংস শেষের পর অনেকেই বলতে শুরু করেন, এ তো ঘরের শক্র বিভীষণ।
গল্প কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি। এক গুজরাতির ব্যাটেই পঞ্চমবার আইপিএল জিতে নিয়ে গেল চেন্নাই। শেষ দুই বলে আমেদাবাদের মাঠে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকল রবীন্দ্র জাডেজার ম্যাজিক। সিএসকে ভক্তরা বলেন, রামের লক্ষ্মণ ছিলেন। আর ধোনির জাডেজা। একদম ঠিক। সৌরাষ্ট্রের এই ক্রিকেটার প্রমাণ করলেন ভারতীয় ক্রিকেট মহেন্দ্র সিং ধোনি যদি বাজিগড় হন, তা-হলে তিনি সিকান্দর।