এ যেন রাজ্যের মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের ফলের মতো। ছিল নবম, হয়ে গেল প্রথম। কারণ ছাত্রের নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি। কোনও সন্দেহ নেই, কেরিয়ারের শেষ সায়হ্নে দাঁড়িয়ে এবার কার্যত ভাঙা দল নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন। হাতে অভিজ্ঞতা বলতে রায়ডু, রাহানে, জাডেজা, মইন আলিরা। বাকি সব নতুন এবং তরুণ। এহেন দল নিয়েই বাজিমাৎ করলেন মাহি। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক জানিয়েছেন, অসুবিধা একটু হয়েছে। কিন্তু তরুণরা দ্রুত মানিয়ে নিয়েছেন। আর অভিজ্ঞরা নিজেদের কাজ করেছেন। গত মরশুম থেকে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে অপরাজেয় ছিল গুজরাত। সেই মিথ এবারের আইপিএলে ভেঙেছেন ধোনি। ফাইনালেও ভেঙে দিলেন।
জাডেজার হাত থেকে নেতৃত্ব ফিরেছিল তাঁর কাছে। দলও সাজিয়েছিলেন গুছিয়ে। কিন্তু চেন্নাইকে প্রথম ঝটকা দেয় ব্রিটিশ ক্রিকেটার বেন স্টোকসের চোট। ১৬ কোটির ক্রিকেটারকে মাঠের বাইরেই বসিয়ে রাখতে হয়। দলের এই আতান্তর অবস্থা থেকে টেনে তুলেছেন অধিনায়ক। এবারের আইপিএলকে উপহার দিয়েছেন পাথিরানা, তুষার দেশপান্ডের মতো ক্রিকেটারকে। ভল্ট থেকে বার করেছেন শুভম দুবের মতো ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে। আর এই দলের প্রাপ্তি ডেভন কনওয়ে এবং রুতুরাজ গাইকোয়াডের মতো দুই ওপেনার। যাঁরা গোটা টুর্নামেন্টে ৭০০ রান করেছেন।
তবে এই আইপিএল থেকে ধোনির সব থেকে বড় প্রাপ্তি ভাগ্য। বিশেষকরে একটা লখনউ ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট বার করে নেওয়া এই টুর্নামেন্টে চেন্নাইয়ের কাছে টার্নিং পয়েন্ট। এবং অবশ্যই ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মায় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স করা। তার জন্যই এই দলে রাহানে, রায়ডুরা অপরিহার্য। আসছে বছর আবার হবে। যদি তাঁর শরীর তাঁকে সেই অনুমতি দেয়। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত দুটো কুড়ি, এই ঘোষণা যখন করলেন, তখনও নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে হাজির ৫০ হাজার দর্শক। সবাই যেন স্বস্তিতে এবার বাড়ি যেতে পারবেন। কারণ ধোনি ছাড়া আইপিএল হয় না।