কানপুরে আড়াই দিনে ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে পিচ নিয়ে বিতর্ক। পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং রোহিত শর্মাও। ম্যাচে দারুণভাবে জিতে গেলেও রোহিত জানিয়েছেন, পিচ থেকে তাঁর দলের বোলারেরা তেমন সুবিধা পাননি। এর নেপথ্যের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে এক অদ্ভুত তথ্য! জানা গিয়েছে, কানপুরের স্টেডিয়ামে সাধারণত কালো মাটির উইকেট তৈরি হয়। সেই পিচ তৈরির মাটিই নাকি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে রীতিমতো চিন্তায় পড়েছে উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা।
কানপুরের পিচ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় উন্নাওয়ের মাটি। জানা গিয়েছে, শেষ কয়েক বছর ধরে উন্নাওয়ের মাটির চরিত্র অনেকটাই বদলে গিয়েছে নানা কারণে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে কানপুরের স্টেডিয়ামের উইকেটকেও। মাটির গুণমান কমেছে। বেশি মাটি পাওয়াও যাচ্ছে না। কালো মাটির পিচ তৈরি করতে গেলে তাতে অন্তত ৫০ শতাংশ কাদামাটি প্রয়োজন। উন্নাওয়ে সেই গুণমানের মাটি আর পাওয়া যাচ্ছে না বলেই জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে এক মরসুমে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০ ম্যাচ হয়। তার জন্য ন’টি পিচ রয়েছে। সবগুলিই কালো মাটির পিচ।
উন্নাওয়ে একটি পুকুরের নীচের মাটি থেকেই কানপুরের পিচ তৈরি করা হয়। সেই মাটি নিয়েই সমস্যা। মাটিতে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কাদা না থাকলে কালো মাটির পিচ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে কালো মাটির জন্য ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে তাকাচ্ছেন তাঁরা। একটি পিচ পুরো তৈরি করতে অন্তত ৪৫ দিন সময় লাগে। জানুয়ারি মাসে আবার পিচ তৈরি করার কাজ শুরু হবে। তার মধ্যে মাটির সমস্যা মেটানো যাবে কি না তা নিয়েই চিন্তায় উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা।