সার্বিয়াকে ২-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে চেনা ছন্দে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল ব্রাজিল। প্রথমার্ধে একাধিক গোলের সুযোগ পেলেও সার্বিয়ার রক্ষণ ভাঙতে পারেননি নেইমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচার্লিসনরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাঠ জুড়ে কেবল হলুদ জার্সির ঝড়। রিচার্লিসনের জোড়া গোলে ম্যাচ পকেটে পুরলেন তিতের ছেলেরা। তবে আরও বেশ কয়েকটি গোল পেতেই পারত ব্রাজিল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল ব্রাজিলের। নেইমার, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা বার বার হানা দিচ্ছিলেন সার্বিয়ার দুর্গে। কিন্তু কিছুতেই গোলমুখ খুলছিল না৷ সার্বিয়ার শারীরিক ফুটবলকে হারিয়ে আদৌ ব্রাজিল ম্যাচ বের করতে পারবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। আর্জেন্টিনা এবং জার্মানি প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছে৷ ব্রাজিলের বিরুদ্ধেও কি অঘটন ঘটাবে সার্বিয়া? এমনই প্রশ্ন দানা বাঁধছিল বিশ্বের কোটি কোটি ব্রাজিল সমর্থকদের মনে।
Neymar: গোল এল না, তবু ব্রাজিলের জয়ের নেপথ্য নায়ক নেইমারই
কিন্তু কোথায় কী! দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মাঠ জুড়ে শুরু হল সাম্বা ঝড়। পাসের পর পাস, দুরন্ত ড্রিবল, দূর থেকে জোরাল শট, ছোট ছোট ওয়াল খেলে গোলমুখ খুলে ফেলা- সার্বিয়ার ডিফেন্সকে নিয়ে ছেলেখেলা করল ব্রাজিল।
গোলের জন্য অপেক্ষা মিটল ৬৩ মিনিটে। সৌজন্যে রিচার্লিসন। পেনাল্টি বক্সের মধ্যে নেমার এগিয়ে গিয়ে শট নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেখান থেকে বল পেয়ে যান ভিনিসিয়াস। তাঁর জোরাল শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচান সার্বিয়ার গোলকিপার। ফিরতি বল পেয়েই গোলে ঠেলে দেন রিচার্লিসন। ব্রাজিল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।
এই গোলের পর মাঠে সার্বিয়াকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে থাকে গোলমুখে।
৭৪ মিনিটে অসাধারণ গোল করলেন রিচার্লিসন। এখনও পর্যন্ত এই বিশ্বকাপের সেরা গোল। বাঁ দিক থেকে বল ভাসিয়েছিলেন ভিনিসিয়াস। বাঁ পা দিয়ে চমৎকার ভঙ্গিতে সেই বল রিসিভ করেন রিচার্লিসন। চোখের পলক ফেলার আগেই ঘুরে গিয়ে দুর্দান্ত সাইডভলি। বল জড়িয়ে যায় জালে। কাসিমিরোর শট বারে না লাগলে আরও গোল পেতে পারত ব্রাজিল। শেষ লগ্নে নেইমার, রিচার্লিসন, ভিনিসিয়াসদের তুলে নেন কোচ তিতে। জেসুস, রড্রিগো, মার্টিনেলিদের নামিয়ে বুঝে নেন রিজার্ভ বেঞ্চের ক্ষমতা। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই দেখা মিলল ভিন্টেজ ব্রাজিলের।