সময়টা ছিল বছর তিনেক আগের। একদিনের মেয়ের আবদারে বাড়িতে পুজো শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই বাড়ি এখন শূন্য, ফাঁকা। গত ৯ অগাস্ট পরবর্তী সময় থেকে বদলে গিয়েছে এই বাড়ির সবকিছু। মেয়ে নেই। রয়ে গিয়েছে শুধু স্মৃতি। তাই এবারের পুজো একেবারে অন্যরকম আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের কাছে।
বাড়ির সামনে চলছে বাঁশ বাধার কাজ। কিন্তু এই মণ্ডপ পুজোর নয়। ধরনা দেওয়া জন্য। যেখানে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত বসে থাকবে নির্যাতিতার পরিবার। সঙ্গে থাকবেন আত্মীয়রা। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, মেয়ে হারিয়ে এখনও খুব কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের। তাই, এবার তাঁরা বাড়িতেই ধরণায় বসবেন। তাঁদের পাশে থাকতে, সবাইকে আহ্বাণ জানিয়েছেন তিনি।
এই মঞ্চে কী যোগ দিতে পারেন রাজনীতিকরা ? এই প্রশ্নের জবাবে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, তাঁরা আসতেই পারেন। কিন্তু মঞ্চে জায়গা হবে না। নির্যাতিতার মার স্পষ্ট ঘোষণা, তাঁরা কোনও রাজনীতির রং চান না। সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফার দাবিতে এখনও পর্যন্ত সাড়া দেয়নি। কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলেও ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
সরকারের কাছে নির্যাতিতার পরিবারের অনুরোধ, মুখ্যমন্ত্রী সবার অভিভাবক। তাই তাঁর কাছে অনুরোধ জুনিয়র ডাক্তারদের দাবিকে একটু বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা। তাঁদের মতে, অসহযোগীতা নয়, জুনিয়র ডাক্তাররাও সরকারের থেকে সহযোগীতাই আশা করছেন।