মঙ্গলে আজ সবার নজর বীরভূমে। জেলার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এদিন জেলায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করবেন প্রশাসনিক বৈঠক। এই একই দিনে তিহাড় থেকে মুক্তি পেয়ে জেলায় ফিরছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গরুপাচার তদন্ত মামলায় গত শুক্রবার তাঁকে জমিন দিয়েছে দিল্লির আদালত। সোমবার রাত ৯টার পর তিহাড় থেকে ছাড়া পেয়েছেন অনুব্রত। এই পরিস্থিতি আজ মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সামনাসামনি দেখা হবে কীনা, তা নিয়ে জল্পনা রাজনৈতিক মহলের।
রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে দেখতে জেলা সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ব বর্ধমানে গিয়ে তিনি ঘোষণা করছেন, শস্যবীমার টাকা পাবেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। এদিনও জল ছাড়ার জন্য ডিভিসিকেই দায়ী করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, যে বাড়িগুলি আবাস যোজনার তালিকাভুক্ত নয়, সেই ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িগুলিকেও সাহায্য করা হবে। তবে নতুন করে যাতে এই এলাকা প্লাবিত না হয়, তার জন্য বিডিওদের সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাঁকুড়ার বড়জোড়ার গ্রামের মহিলারা। তাঁরা জানান, ফি বছর এই ভাবে তাঁদের ভেসে যেতে হচ্ছে। এই ব্যাপারে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, বারবার কেন্দ্র তাঁকে হতাশ করছে। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে একতরফা ভাবে জল ছেড়ে বাংলাকে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে নিজের হাতে তা বিলি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরমধ্যেই দিল্লিতে তিহাড় জেলের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যায় অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলকে। গরুপাচার তদন্তে ইডির দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন সুকন্যা। রাত ৯টার কিছু পরে তিহাড়ের গেট খুলে বাইরে আসেন অনুব্রত মণ্ডল। গায়ে হলুদ টি-শার্টের সঙ্গে কালো প্যান্ট। ২০২২ সালে ১১ অগাস্ট জন্মাষ্ঠমীর দিন বীরভূমের বাড়ি থেকে গরুপাচার তদন্তে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই।