সাংসদ এলাকার বাইরে অযাচিত হস্তক্ষেপের জন্য নেতাজি ইন্ডোরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ‘ধমক’ দিয়েছিলেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নেটমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে দলনেত্রীর নির্দেশ পালনের কথা জানালেন মহুয়া মৈত্র। তবে মমতার কথামতো করিমপুরের ব্যাপারে মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খানের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা জানিয়েও কৃষ্ণনগরের সাংসদ ওই পোস্টে লিখেছেন, তিনি করিমপুরের বাসিন্দা এবং সেখানেই থাকবেন।
বৃহস্পতিবার দলের সাংগঠনিক সভায় মমতার রোষের মুখে পড়েন মহুয়া। মহুয়ার দিকে নজর পড়তেই তিনি বলেন, ‘‘করিমপুর আর মহুয়ার জায়গা নয়। ওটা আবু তাহেরের জায়গা। উনি দেখে নেবেন। তুমি তোমার লোকসভা নিয়ে থাকো।’’ সূত্রের খবর, এতেই ক্ষুব্ধ হন মহুয়া। আর নির্দেশের ১২ ঘন্টার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দলনেত্রীকে সম্মান জানিয়েও কৃষ্ণনগরের সাংসদ জানান, তিনি করিমপুর ছাড়ছেন না।
মমতার ধমকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মহুয়া নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বিধায়ক থাকাকালীন তিনি করিমপুরের জন্য কী কী করেছেন। নাতিদীর্ঘ পোস্টে মহুয়া কৃষ্ণনগরের সাংসদ হওয়ার পরেও কী ভাবে করিমপুরের উন্নয়নের কাজ করেছেন তারও উল্লেখ করেছেন। পোস্টের একেবারে শেষে মহুয়া লিখেছেন, তিনি করিমপুরের ভোটার এবং বাসিন্দা হিসেবে করিমপুরেই থাকবেন।