অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের এবার চিঠি পাঠাল হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। সাত জুনিয়র ডাক্তারকে আলাদা আলাদা ভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে অনশনরত চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ধর্মতলা ছেড়ে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
পুলিশের তরফে পাঠানো ওই চিঠিতে অনশনকারীদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ওই আন্দোলন চলছে। তারপরই অনশনকারীদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এবং একই সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কাছে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের চিকিৎসার জন্য একদল চিকিৎসক মোতায়েন করার আর্জি জানানো হয়েছে।
পুলিশের তরফে পাঠানো ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, বুধবার কলকাতা পুলিশের অ্য়াম্বুল্যান্স পরিষেবা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই কারণে ফের অনশন প্রত্যাখ্যান করার অনুরোধ করছেন।
শুধু চিঠি পাঠানো নয়, অনশন মঞ্চেও পৌঁছে যায় পুলিশের কয়েকজন আধিকারিক। তাঁরা অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে জানতে চান। অন্যদিকে অনশনকারীরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্তাদের কাছে যাতে তাঁদের বার্তা পৌঁছয় সেই ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ১০০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ধর্মতলার অনশন মঞ্চে বসে রয়েছেন সাত জুনিয়র ডাক্তার। এর মধ্যে আরও খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার এবং এই আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাত। তাঁর লিভার এবং কিডনির উপর প্রভাব পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে আরজি কর হাসপাতালে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও অনিকেত জানিয়েছেন, তিনি অনশন মঞ্চ ছাড়ছেন না।