জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন কর্মসূচি চলছে। এবার সেই কর্মসূচি প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানালেন, উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সোমবার কলকাতা পুলিশের একটি পুজোর অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। প্রায় ৩৭ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এরই মধ্যে মুখ খুললেন সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
মনোজ ভার্মাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ধর্মতলা এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। তারপরেও সেখানে অনশন চলছে। এবিষয়ে পুলিশ কী পদক্ষেপ করবে? এই প্রশ্নের জবাবে কলকাতা পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, "এই বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।"
শনিবার রাত থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। চিকিৎসক খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি সহ মোট ১০ দফা দাবি রয়েছে তাঁদের। আর সেই দাবি পূরণেই চলছে আমরণ অনশন।
এদিকে ৩৭ ঘণ্টা কেটে গেলেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। সোমবার সকাল থেকেই অনুশন মঞ্চে বসানো হয়েছে CCTV ক্যামেরা। জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, অনশন কর্মসূচির স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই CCTV বসানো হয়েছে। সেই ফুটেজ সকলকে দেখানোরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের পাশাপাশি অনশন শুরু করেছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন কর্মসূচিকে সমর্থন জানাতেই তাঁরা অনশন শুরু করেছেন। ধর্মতলাতেই ২৪ ঘণ্টার জন্য অনশন শুরু করেছেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক। তবে অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের রক্তচাপ এবং রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা সঠিক রয়েছে। শারীরিক কোনও অবনতি হয়নি বলেই এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে।
রবিবার থেকে অনশনমঞ্চের পাশে বায়ো টয়লেট বসানো নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, বারবার বায়ো-টয়লেট বসানোর চেষ্টা করা হলেও পুলিশের তরফে বাধা দেওয়া হয়েছে। যদিও সোমবার সকালে সেই সমস্যা সমাধান হয়েছে। সকাল ৭টা নাগাদ দুটি বায়োটয়লেট বসানো হয়েছে। তবে সেগুলি শুধুমাত্র অনশনকারীরাই ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।